মাওবাদীদের উদ্দেশে অস্ত্র ছাড়ার আহ্বানে বড়সড় সাফল্য মিলল ছত্তীসগঢ় পুলিশ-প্রশাসনের। বস্তার অঞ্চলে আত্মসমর্পণ করলেন এক মহিলা-সহ ১৩ জন মাওবাদী।
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, দলের উঁচুতলার কয়েক জন— বিশেষত অন্ধ্রপ্রদেশের নেতাদের দুর্ব্যবহারে তিতিবিরক্ত হয়েই অস্ত্র ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন এই মাওবাদীরা। এমনকী, মহিলা এবং নিচুতলার মাওবাদীদের শোষণের মতো ঘটনাও দলে আকছার ঘটত বলে দাবি তাঁর। এঁদের সকলের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা ছাড়াও বিস্ফোরণে গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায়ও নাম জড়িয়েছে এঁদের।
দক্ষিণ ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে আত্মসমর্পণ করেন এগারো জন। এঁদের মধ্যে দু’জনের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজাপুরের পুলিশ সুপার কে এল ধ্রুব। অন্য দিকে, কোন্ডাগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরজিত্ আত্রি জানান, দু’টি টিফিন বোমা-সহ এই জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন দু’জন মাওবাদী। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে প্রত্যেক আত্মসমর্পণকারীকে দশ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রত্যেকের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
ছত্তীসগঢ় প্রশাসনের এই সাফল্যের পাশাপাশি মাওবাদী মোকাবিলায় আরও আধুনিক হচ্ছে মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলির পুলিশি ব্যবস্থা। বিদর্ভ অঞ্চলের গড়চিরোলিতে মাওবাদী মোকাবিলায় এসএমএস এবং উন্নত মোবাইল প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ। গড়চিরোলি ছাড়াও চন্দ্রপুর এবং গোন্ডিয়াতে এসএমএস-এর মাধ্যমে মাওবাদী নাশকতার খবর জানিয়ে অঞ্চলের মানুষদের সতর্ক করতে শুরু করেছে পুলিশ। এ ভাবে সচেতনতা প্রসারের মূল ভাবনাটি গড়চিরোলির পুলিশ সুপার সুভেজ হকের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, ‘সাবস্ক্রাইবার ডিটেল রিপোর্ট’ বা এসডিআর-এর মাধ্যমে একই নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা পুলিশকর্মীদেরও মাওবাদী আক্রমণের তথ্য জানানো হচ্ছে। এর ফলে সহজেই নাশকতাস্থলে পৌঁছতে পারবেন পুলিশকর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy