কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের পর জম্মু-কাশ্মীরের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার সকালে সেখানে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পূর্বনির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী এ দিন প্রথমে তিনি জম্মুতে যান। আকাশপথে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। পাশাপাশি, উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ নিয়ে এনডিআরএফ, বিমানবাহিনী ও সেনা আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
শনিবারই জম্মু-কাশ্মীর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ফিরে গিয়ে রাজ্যের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন প্রধানমন্ত্রীকে। গত পাঁচ দিনের টানা বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১৬ জনের। বন্যার কবলে প্রায় আড়াই হাজার গ্রাম। এর মধ্যে সাড়ে চারশো গ্রামের জলমগ্ন। রবিবার নতুন করে বৃষ্টিতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। শ্রীনগরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে, ঝিলাম নদী উপচে পড়ায় জলমগ্ন হয়েছে বাদামিগড়, রাজবাগ, কুরসু, নওগাঁ-সহ বেশ কয়েকটি এলাকা। প্রশাসন সূত্রে খবর, বহু মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে নিচু এলাকাগুলিতে বাড়ির ছাদে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে সেনারা। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে ওই সব এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানান, টেলিফোন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকাগুলির পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এ দিন জানান, পটনা ও গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছেছে। বন্যায় আটকে পড়া মানুষের কাছে পৌঁছতে প্রশাসনও যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। জম্মুর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও শ্রীনগরের পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে বলে জানান আবদুল্লা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও সেনা-জওয়ানরা যে ভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তার প্রশংসাও করেন তিনি।