হতাশার হার! ফাইনালের পর দর্শকদের ধন্যবাদ সাইনার। রবিবার এএফপি-র তোলা ছবি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ইতিহাসের দোরগোড়ায় পৌঁছেও দেশকে ট্রফি উপহার দিতে পারলেন না সাইনা নেহওয়াল। এ বারের মতো অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ অধরাই রইল তাঁর। রবিবার ফাইনালের আগে পর্যন্ত তিন বারের সাক্ষাতে প্রতি বার প্রতিপক্ষকে হারালেও কেরিয়ারের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারলেন সাইনা। স্পেনীয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ক্যারোলিনা মারিনের কাছে ধরাশায়ী হলেন ২১-১৬, ১৪-২১, ৭-২১।
ব্যাডমিন্টনের উইম্বলডন হিসাবে পরিচিত অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে উঠে এ বারে রেকর্ড গড়েছিলেন সাইনা। কিন্তু ফাইনালের হারে অনন্য নজির গড়া থেকে দূরেই রইলেন তিনি। এর আগে ২০১০ এবং ’১৩ সালে এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল পর্যন্ত এগিয়েছিলেন তিনি। প্রথম বার ফাইনালে ওঠায় তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ চড়ছিল দেশের ক্রীড়ামহলে। ২১-১৬ প্রথম গেম জিতে এ দিন সেই প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দেন তিনি। সাইনার আক্রমণে নেটে একের পর এক আনফোর্সড এরর করতে থাকেন ক্যারোলিনা। মাত্র ১৯ মিনিটেই প্রথম গেম পকেটে পুরে নেন তিনি। ক্যারোলিনা বলেন, “প্রথম গেম খুবই নার্ভাস ছিলাম।”
এর পর দুর্দান্ত কামব্যাক করেন ক্যারোলিনা। বিশ্বের ছয় নম্বরের আক্রমণাত্মক খেলায় একের পর এক পয়েন্ট খোয়াতে থাকেন সাইনা। ফাইনালে দু’জনের মধ্যে ক্যারোলিনাকেই বেশি ফিট খেলোয়াড় মনে হয়েছে। শেষ আটে প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চিনের ইহান ওয়াং এবং সেমিতে বিশ্বের আঠারো নম্বর সুন য়ু-কে হারানোর ধকল এ দিন প্রভাব ফেলে সাইনার ফিটনেসে। ফলে ফাইনালে ফেভারিট হিসেবে শুরু করলেও ১৯৮০ সালে প্রকাশ পাড়ুকোন এবং প্রাক্তন কোচ পুলেল্লা গোপীচন্দের ২০০১ সালের ট্রফি জয়ের রেকর্ড ছুঁতে পারলেন না সাইনা।
এক ঘণ্টা দু’মিনিটের ফাইনালে দ্বিতীয় গেমের শুরুটা ভালই করেন সাইনা। ৬-২ এগিয়েও যান তিনি। কিন্তু এর পরই গেমে ফেরেন ক্যারোলিনা। ক্যারোলিনা ৪-৬ করার পর ব্রেকের সময়ও সাইনার ১১-৯ লিড ছিল। ব্রেকের পর সাইনাকে ব্যাক কোর্টে ঠেলে ১২-১১ এগিয়ে যান ক্যারোলিনা। দৃশ্যতই ক্লান্ত সাইনার থেকে ২১-১৪ দ্বিতীয় গেম জেতেন তিনি। তৃতীয় গেমে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বার্মিংহ্যামের স্টেডিয়ামে প্রবল সমর্থনের মধ্যেই শেষ গেম ও ম্যাচ বের করে নিয়ে যান ক্যারোলিনা।
নিজের প্রথম সুপার সিরিজ ছাড়াও এই প্রথম অল ইংল্যান্ড খেতাবও জিতলেন এই বাঁ-হাতি শাটলার। ম্যাচের শেষে উচ্ছ্বসিত ক্যারোলিনা বলেন, “অসাধারণ অনুভূতি। সাইনাকে হারানোটা সত্যিই আনন্দের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy