মসুলের কাছে বিদ্রোহীদের সাঁজোয়া গাড়ি। ছবি: রয়টার্স।
দ্রুত অবনতি হচ্ছে ইরাকের পরিস্থিতির। সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত’ (আইএসআইএল) একের পরে এক শহর দখল করে বাগদাদের খুব কাছে চলে এসেছে। ইরাকের প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বাগদাদের উত্তরে একটি শহরও তারা দখল করে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন সেনা বিদায় নেওয়ার পরে ক্রমেই ইরাকের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। সাদ্দামের পতনের পরে ২০১৩-তেই সবচেয়ে বেশি মানুষ হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন। এ বছরের শুরু থেকেই পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে শুরু করে। ইরাকি প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার থেকে আইএসআইএল নতুন উদ্যমে আক্রমণ শুরু করে। প্রধানত উত্তরে নিনেভে, দক্ষিণ-পশ্চিমে কিরকুক এবং দক্ষিণে সালাহেদ্দিন অঞ্চলে আক্রমণ কেন্দ্রীভূত ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাগদাদ থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে ধুলুইয়া শহরের পতন হয়েছে বলে ইরাকের প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মুয়াত্তাসাম অঞ্চলও বিদ্রোহীদের দখলে চলে গিয়েছে।
আইএসআইএল মুখপাত্র আবু মহম্মদ আল আদনানি জানান, তাঁরা বাগদাদ ও কারবালা দখলের জন্য চেষ্টা শুরু করেছেন। কারবালা শিয়াদের পবিত্র ধর্মীয় অঞ্চল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বৃহস্পতিবারই ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি সংসদের জরুরি অধিবেশন ডেকেছেন। এই অধিবেশনে ইরাকে জরুরি অবস্থা জারি করার জন্য প্রস্তাব পেশ করা হবে। নানা গোষ্ঠীতে বিভক্ত ইরাকের সংসদে এই প্রস্তাব পাশ হওয়া কঠিন বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
ইরাকের এই অবস্থায় মার্কিন প্রশাসন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চূড়াম্ত চুক্তি নিয়ে টালবাহান চলায় ২০১১-এ আমেরিকা এক তরফা ভাবে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। সাদ্দামকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরে ইরাকের শান্তি ফেরাতে প্রায় চার হাজার মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। ইরাকের পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে ওবামা প্রশাসনকে দেশে প্রবল ভাবে সমালোচিত হতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মালিকি এর মধ্যেই মার্কিন প্রশাসনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। মার্কিন প্রশাসনও বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রোনের ব্যবহার-সহ নানা সাহায্যের কথা চিন্তা করছে বলে খবর। তবে আপাতত আবার সেনা পাঠানোর কথা আমেরিকা বাতিল করে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy