শিলিগুড়ির জনসভায় নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাচ্ছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গ। রয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ ও বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া। ছবি: এএফপি।
কৌতুহল ছিল তীব্র। কিন্তু শেষমেশ সেই পথে হাঁটলেন না নরেন্দ্র মোদী। ‘গোর্খাদের স্বপ্নই আমাদের স্বপ্ন’ এ কথা বললেও বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদী সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন গোর্খাল্যান্ডের প্রসঙ্গ। বললেন, মানুষ পুলিশের থেকে গোর্খাদের উপর বেশি নির্ভর করে। তাই তাঁদের উন্নয়ন একান্ত কাম্য।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ শিলিগুড়ি উপকণ্ঠে খাপরাইলের ‘বাস্তু বিহার’-এর মাঠে সভা করেন মোদী। এ দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিঙের মোর্চা সমর্থিত বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া, জলপাইগুড়ির প্রার্থী সত্যলাল সরকার এবং আলিপুরদুয়ারের বীরেন্দ্রবড়া ওরাওঁ। এ ছাড়াও ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গ ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ।
নাম না করে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে তুলোধনা করলেন নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ করলেন, রাজ্যে পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু এই পরিবর্তন সত্যিকারের নয়, এটা ‘ধোঁকা’। তাঁর দাবি, তৃণমূল মানুষকে নিরাশ করেছে। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে বহু গরিব মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের জীবনে কোনও পরিবর্তন হয়নি। মোদীর দাবি, ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন কী ভাবে করতে হয় তা তিনি নিজে দেখাবেন। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এক সময় বিজেপিকে ছোট দল বলে মনে করতেন। তিনি দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই বামেদের বিরোধিতা করে এসেছেন। কিন্তু এখন তিনি দেখছেন যে দিনে অন্তত একশো বার বিজেপির নাম না করলে মুখ্যমন্ত্রীর ভাতই হজম হয় না।
ঘণ্টাখানেকের বক্তৃতায় পাহাড়ের উন্নয়ন থেকে রাজ্যের পরিবর্তন, একে একে তুলে ধরলেন সব কিছুই। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জানালেন, কেন্দ্রে সর্বপ্রথম জবরদস্ত সরকার গড়তে হবে। দেশের যে সব জায়গায় সঠিক উন্নয়ন হচ্ছে না বা এখনও দুর্নীতি চলছে পুরোদমে, সেই সব জায়গাকে ঠাণ্ডা করতে ও সার্বিক উন্নতি আনতে দিল্লিতে এক জন ‘মাস্টারজি’ দরকার। যাঁকে দেখে মানুষ দুর্নীতির পথে পা বাড়াতে সাহস পাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy