রাজ্যপাল।—ফাইল চিত্র।
আচার্য-রাজ্যপাল চেয়েছিলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সমাবর্তন বয়কট করলে তাঁদের শংসাপত্রে স্ট্যাম্প লাগিয়ে সে কথা লিখে দেওয়া হোক। কিন্তু তাতে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই প্রশ্ন ওঠে, শংসাপত্রে এ রকম লিখে দেওয়ার কোনও সংস্থান আইনে নেই। তা হলে রাজ্যপালের কথা মানা হবে কী করে? শনিবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নিজেই জানালেন, শংসাপত্রে স্ট্যাম্প লাগানোটা ছিল তাঁর প্রস্তাব। ছাত্রছাত্রীরা কী করবেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছিলেন, যাঁরা সমাবর্তন বয়কট করবেন, তাঁদের শংসাপত্র ডাক মারফত পাঠানো হবে এবং সেই সঙ্গেই স্ট্যাম্প লাগানোর কথাও বলেন তিনি। ত্রিপাঠীর বক্তব্যের আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমনকী, একে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ’ বলেও কটাক্ষ করেন প্রাক্তন উপাচার্যদের কেউ কেউ।
শনিবার একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট সংস্থার অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন,“আমি যেটা বলেছিলাম, তা ছিল প্রস্তাব। ছাত্রছাত্রীরা কী করবেন সে ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবে। এর মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই।” ছাত্রছাত্রীরা সোমবার বিকেল চারটেয় সাধারণ সভার বৈঠকে সমাবর্তন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তার আগে সমাবর্তন বয়কটের ডাকে তাঁরা অনড় বলে পড়ুয়ারা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy