গত কুড়ি দিন ধরে পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। বুধবার কার্যত পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই গাড়ি করে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করল হাওড়া হোটেল কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দীপক সাউ। দু’দিন আগেই হাওড়া আদালত তার আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল। এ দিন আদালত দীপককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ ও আদালত সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ নিজের আইনজীবীর গাড়িতে চেপে আদালতে এসে পৌঁছয় দীপক। পুলিশের গ্রেফতারি এড়াতে প্রায় আদালতের মূল প্রবেশদ্বারের সামনে গাড়ি রাখা হয়েছিল। গালে হালকা কাঁচা-পাকা দাড়ি, আকাশি রঙের জামা, কালো প্যান্ট পরা দীপক গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে দৌড়ে আদালতের ভিতরে ঢুকে যায়। আদালত চত্বর তখন সাদা পোশাকের পুলিশে ঠাসা। কিন্তু কেউই তাকে ধরতে পারেনি। আদালতে ঢুকে আত্মসমর্পণ করার পরে দীপককে পুলিশ কোর্ট লক আপে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে বের করে। তখনই সে সাংবাদিকদের বলে, “ওই হোটেলে অশালীন কাজকর্ম শুরু হয়েছিল। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম বলেই এ ভাবে ফাঁসানো হল।”
গত ২০ জুন দীপকের বিরুদ্ধে হাওড়ার একটি হোটেলের ম্যানেজার আশিস মান্নাকে মারধর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাতেই গোলাবাড়ি থানায় দীপকের বিরুদ্ধে আশিসবাবু অভিযোগ দায়ের করেন। এর এক দিন পরে, অর্থাৎ ২২ জুন বিকেলে হোটেল মালিক সুমিত নাহাকে অপমান করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হোটেল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আশিসের বিরুদ্ধে। যদিও ওই ঘটনার পরে সুমিতবাবু পুলিশকে কিছু জানাননি। ওই দিন রাতেই আশিস এবং তার আর এক বন্ধু রিয়াজ আহমেদ ফোন করে সুমিতকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই সুমিতবাবু মারা যান বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর মা মঞ্জু নাহা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy