Advertisement
E-Paper

হ্যাডিন নয়, অজি অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন স্টিভ স্মিথ

ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের বাকি ম্যাচগুলিতে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার ৪৫তম টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে ব্রিসবেনে অভিষেক হতে চলেছে এই অলরাউন্ডারের। সোমবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্টিভকে অধিনায়ক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। মাইকেল ক্লার্কের অনুপস্থিতিতে তিনিই দলকে নেতৃত্ব দেবেন। পাশাপাশি, এটাও জানানো হয় ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলি খেলবেন না ক্লার্ক।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:৫২
স্টিভ স্মিথ। ছবি: এএফপি।

স্টিভ স্মিথ। ছবি: এএফপি।

ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের বাকি ম্যাচগুলিতে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার ৪৫তম টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে ব্রিসবেনে অভিষেক হতে চলেছে এই অলরাউন্ডারের। সোমবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্টিভকে অধিনায়ক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। মাইকেল ক্লার্কের অনুপস্থিতিতে তিনিই দলকে নেতৃত্ব দেবেন। পাশাপাশি, এটাও জানানো হয় ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলি খেলবেন না ক্লার্ক।

মাইকেল ক্লার্কের অনুপস্থিতিতে দলকে কে নেতৃত্ব দেবেন সেই নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। নেতৃত্বের দৌড়ে উঠে এসেছিল সহ-অধিনায়ক ব্র্যাড হ্যাডিনের নাম। ক্লার্কের চোটের কারণে অ্যাডিলেড টেস্টের শেষ দিনে দলকে নেতৃত্ব দেন হ্যাডিন। এ দিন সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অস্ট্রেলিয়া বোর্ড স্মিথের হাতে দায়িত্ব সঁপে দেয়। রবিবার রাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ডাইরেক্টর বোর্ডের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচক কমিটি স্টিভের নাম প্রস্তাব করে। বৈঠকে ঠিক হয় ক্লার্কের অবর্তমানে স্টিভ অধিনায়কত্ব করবেন এবং সহ-অধিনায়ক থাকবেন ব্র্যাড হ্যাডিন। পাশাপাশি, এটাও স্থির হয় যে, ক্লার্ক চোট সারিয়ে ফিরে আসার পর সহ-অধিনায়কের পদ সামলাবেন স্টিভই। জাতীয় নির্বাচক রড মার্শ বলেন, “ক্লার্কের চোট সত্যিই চিন্তার বিষয়। কত দিন ও মাঠের বাইরে থাকবে সেটাও জানি না।” তিনি এটাও জানান, অনেক চিন্তাভাবনার পর রাতারাতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যত ক্ষণ না ক্লার্ক মাঠে ফিরছেন, দলের কোনও তরুণ ক্রিকেটাররের কাঁধে এই দায়িত্ব দিতে হবে যাঁর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। সেই হিসাবেই স্টিভের নাম উঠে আসে। এরই সঙ্গে তিনি সদ্য দায়িত্ব পাওয়া স্টিভকে অভিনন্দন জানান।

দলনেতা হিসাবে কেন বাছা হল স্টিভকে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্টিভের। এ ছাড়া ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও নজর কাড়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। ২১ বছর বয়সেই জাতীয় দলে জায়গা করে নেন। ২০১০-এ লর্ডসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়।

নতুন দায়িত্ব পেয়ে কী বলছেন স্টিভ?

নতুন দায়িত্ব পেয়ে তিনি খুবই খুশি। তিনি বলেছেন, “অধিনায়ক হিসাবে আমার প্রথম কাজ হবে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। পাশাপাশি, মাঠে নিজের পারফরম্যান্সকেও ধরে রাখা।” ভারতের বিরুদ্ধে বাকি ম্যাচগুলিতে তাঁর ভূমিকা যে আগ্রাসনী হবে এ দিন সে কথাও জানিয়েছেন স্মিথ। মাইকেল ক্লার্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সোমবার সকালে ফোন করেছিলাম। আমার নতুন দায়িত্বে ও খুব খুশি।”

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় কনিষ্ঠতম টেস্ট অধিনায়ক হলেন স্মিথ। ২৫ বছর বয়সে এই দায়িত্ব পেলেন তিনি। স্মিথের আগে রয়েছেন কিম হিউজ এবং ইয়ান ক্রেগ।

আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে ব্রিসবেনে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এক জন অলরাউন্ডার হিসাবে স্টিভ সফল হলেও অধিনায়ক হিসাবে কতটা সফল হবেন এখন সেটাই দেখার।

australia test captain steve smith clarke
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy