—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কোচবিহার ছাড়ার আগে, বুধবার রাতে দিনহাটার সংঘর্ষের ঘটনায় দু’জনকে ধরল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের এক জন বিজেপি কর্মী ও অন্য জন তৃণমূলের। বিজেপি কর্মী জনাব আলি দিনহাটার ঝুড়িপাড়ার বাসিন্দা। তৃণমূল কর্মী আলামিন শেখের বাড়ি দিনহাটারই ওকরাবাড়ি গ্রামে। আলামিনের বিরুদ্ধে এসডিপিও (দিনহাটা) ধীমান মিত্রের উপরে হামলার অভিযোগ রয়েছে। ভিডিও দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়। বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ-সহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় দাবি করেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলছি, তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে হামলা করেছে। ভিডিয়ো ফুটেজ দেখলেই সব পরিষ্কার হবে। আর বিজেপির যে কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি কয়েক দিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি সেখানে ছিলেন না। তাঁর নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।” এ দিকে, পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় তৃণমূল কর্মী গ্রেফতারে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। উদয়ন গুহ বলেন, “কাদের লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা এখনও আমার জানা নেই। তবে এসডিপিও-র উপরে ভুলবশত হামলা হয়েছে বলেই আমার মনে হয়েছে। ঝামেলার মধ্যে এসডিপিও সাদা পোশাকে ছিলেন, তাই হয়তো তাঁকে কেউ চিনতে পারেনি। তবে যেটা হয়েছে, খুব খারাপ।”
মঙ্গলবার রাতে দিনহাটার পাঁচ মাথার মোড়ে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এক সময়ে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহার লোকসভার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এবং রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহকে। যুযুধানদের মাঝে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই ঘটনায় এসডিপিও-সহ ১০ জন জখম হন। ওই ঘটনা খতিয়ে দেখতেই বুধবার রাতে দিনহাটা পৌঁছন রাজ্যপাল। তিনি ওই বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন। কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কোচবিহার থেকে বাগডোগরা হয়ে কলকাতায় যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy