বারাসত লোকসভা কেন্দ্রকে দখল করতেই রাজ্যের দুই মন্ত্রীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্য এক মন্ত্রীকে। অথচ, কিছুই পাওয়া যায়নি। লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারাসতে রোড-শো করতে এসে বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, রেশন-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে হাবড়ার বিধায়ক তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। পুর নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ ও দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এ দিন বারাসতের প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের হয়ে প্রচারে এসে অভিষেক সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘বারাসতের উপরে বিজেপির অনেক দিন ধরে লোভ। এ ভাবে ওরা বারাসত দখল করতে চাইছে। সাত মাস ধরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আটকে রেখেছে। রথীন ঘোষ, সুজিত বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু কিছুই পায়নি। নির্যাস শূন্য।’’
ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের নাম করে তিনি বলেন, ‘‘ওই প্রার্থীর বায়োডেটা এখানকার মানুষ জানেন। পশ্চিমবঙ্গ নয়, অসমের পুলিশ ওঁকে গ্রেফতার করেছিল। এমন লোক পদ্ম চিহ্ন নিয়ে এখানে ভোট চাইতে এসেছেন।’’
এ দিন বারাসত স্টেডিয়াম থেকে চাঁপাডালি মোড় পর্যন্ত রোড-শো করেন অভিষেক। জয়নগর কেন্দ্রের মগরাহাট পূর্বেও জনসভা করেন তিনি। ওই সভা সেরে হেলিকপ্টারে চেপে তিনি বারাসত স্টেডিয়ামে এসে নামেন। এ দিনের ওই রোড শো-কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ে অভিষেকের যাত্রাপথে। এমনকি, তার জেরে বারাসত শহরের ওই সব এলাকায় যান চলাচলও থমকে যায়। যা নিয়ে অবশ্য দুঃখপ্রকাশ করে অভিষেক বলেন, ‘‘প্রচুর ভিড়। গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। অফিস ফেরত মানুষের সমস্যা হচ্ছে। আমি বক্তব্য দীর্ঘায়িত করব না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)