নন্দীগ্রামে বিজেপির বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
বিজেপির মহিলা কর্মী খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গোটা দিন জুড়ে উত্তপ্ত ছিল নন্দীগ্রাম। তার মধ্যেই শুক্রবার সেখানে গ্রেফতার হলেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম ধনঞ্জয় ঘড়া। তিনি বিজেপির নন্দীগ্রাম ১ মণ্ডলের সভাপতি। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনোনয়নের দিন অশান্তির ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। তমলুক থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম থেকেই গ্রেফতার হন ধনঞ্জয়। গ্রেফতারের পর তাঁকে তমলুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আদালতে হাজির করানো হবে ধৃতকে।
বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় বিজেপির মহিলা কর্মী রথিবালা আড়িকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় বৃহস্পতিবার গোটা দিন জুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশের বিরুদ্ধেও যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছে পদ্মশিবির। বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামেরই বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, খুনের ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে মূল অভিযুক্তদের বৈঠকও হয়েছে! হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তাপের মাঝেই বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গ্রেফতার।
গত ৫ মে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন অভিজিৎ। সেই দিন মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী ও দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তমলুক হাসপাতাল মোড়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনশনমঞ্চের কাছে পৌঁছতেই গন্ডগোল শুরু হয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান, ধাক্কাধাক্কিতে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। দাবি, বিজেপির মিছিল যাওয়ার সময় অভিজিৎ ও শুভেন্দুকে নিশানা করে ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলা হয়। সেই সময় মিছিল থেকে কয়েক জন জুতো নিয়ে চাকরিহারাদের অনশনমঞ্চের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় অনশনমঞ্চে উপস্থিত একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক আহত হন বলে অভিযোগ। এর পরেই অভিজিৎ-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy