গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লোকসভা ভোটের প্রচারে ক্রমশই ‘উপস্থিতি’ বাড়ছে পাকিস্তানের। শুক্রবার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের একটি পুরনো সাক্ষাৎকার খুঁজে বার করে এনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাকিস্তান এবং পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নরম মনোভাব নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের ‘প্রতিষ্ঠাতা’ মহম্মদ আলি জিন্না সম্পর্কে প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পদ্মশিবিরকে দুষলেন কংগ্রেস নেতা তথা ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতাদের বরাবরই পাকিস্তান প্রেম রয়েছে। ওঁদের নেতা আডবাণীজি তো জিন্নাকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলেছিলেন।’’
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে আডবাণী পাক সফরে গিয়ে জিন্নার সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করেছিলেন। সে সময় তিনি জিন্নাকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের দূত’ বলেছিলেন। আডবাণীর সেই মন্তব্যকে ঘিরে প্রবল বিতর্ক হয় আর তার রাজনৈতিক মূল্য আডবাণীকে চোকাতে হয়েছিল বিজেপি সভাপতির পদে ইস্তফা দিয়ে। সে সময় আডবাণী সাফাই দিয়েছিলেন যে, তিনি বিজেপির সংস্কার সাধন করতে চাইছেন। কিন্তু সঙ্ঘ পরিবার এবং দলের কট্টরপন্থী অংশের চাপে পিছু হটতে হয়েছিল তাঁকে।
অন্য দিকে, বছর কয়েক আগে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ আইয়ার বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তানকে সমঝে চলা উচিত। কারণ, তাদের কাছেও পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।’’ সেই পুরনো মন্তব্য নিয়ে অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপি শুক্রবার কংগ্রেসকে নিশানা করেছে। যদিও কংগ্রেস সেই মন্তব্য থেকে দূরত্ব তৈরি করে জানিয়েছে, আইয়ার পুরনো সাক্ষাৎকারে যা বলেছিলেন, তা দলের বক্তব্য নয়। একই সঙ্গে কংগ্রেসও মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের পুরনো সাক্ষাৎকার তুলে ধরেছে। সেখানে জয়শঙ্কর বলছেন, ‘‘চিন ভারতের তুলনায় অনেক বড় অর্থনীতি। ভারতের পক্ষে চিনের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটা সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy