গৌতম দেব। — ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী আচরণবিধি চালু থাকাকালীন কী ভাবে শিলিগুড়ি পুরনিগমে চলছে ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি? এই প্রশ্ন তুলে শিলিগুড়ি পুরনিগম এবং মেয়র গৌতম দেবের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিজেপির অভিযোগ, এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মেয়র। তাতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে। গৌতম যদিও জানিয়েছেন, তিনি যা করছেন, নির্বাচনী আধিকারিককে জানিয়েই করছেন।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং লোকসভা এবং জলপাইগুড়ি লোকসভার কিছু অংশ। আগামী ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফায় ভোট রয়েছে জলপাইগুড়িতে। ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায় ভোট রয়েছে দার্জিলিঙে। বিজেপির প্রশ্ন, এই আবহে কেন চলবে ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি? এই প্রসঙ্গে শঙ্কর বলেন, ‘‘নির্বাচনী আচরণবিধি চালু রয়েছে। ঠিক সেই সময় বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে কী ভাবে শিলিগুড়ির মেয়র টক টু মেয়র কর্মসূচি করছেন? কী ভাবে সেখানে বসে জনগণকে বিভিন্ন রকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন? আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই, ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? গোটা বিষয়টি কমিশনকে জানিয়েছি। তারা কী ব্যবস্থা নেয়, সেই অপেক্ষায় আছি।’’
গৌতম যদিও বিজেপির অভিযোগ মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘টক টু মেয়র একটি ধারাবাহিক কর্মসূচি। শনিবার ছিল এই কর্মসূচির ৭৫তম সপ্তাহ। ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচি শুরুর আগে আমি নির্বাচনী আধিকারিককে জানিয়েই করেছি। পুরো কর্মসূচি রেকর্ড করা রয়েছে। যদি কোথাও নিয়মভঙ্গ হয়ে থাকে, তা হলে কমিশন দেখবে। সবটাই নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে হয়েছে৷’’
ভোট ঘোষণার পরে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়েছে। তাই গত সপ্তাহ থেকে বন্ধ রয়েছে কলকাতা পুরসভার ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি। প্রতি শনিবার এই কর্মসূচিতে কলকাতাবাসীর সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা শোনেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একই কর্মসূচি শিলিগুড়ি পুরসভায়ও চালু করেছেন গৌতম। যদিও তা এখনও চলছে। এ নিয়েই কমিশনে নালিশ জানিয়েছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy