E-Paper

ভোটারদের সাহস দিচ্ছে বাহিনী, তবু প্রশ্ন

প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। জওয়ানদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের সাহস জোগাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ সুপার আমনদীপ-সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪৯
An image of Central Force

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নির্বাচন-পর্বে জেলার কোনও প্রান্তে অশান্তি হলে তার খবর যাতে দ্রুত প্রশাসনের কাছে পৌঁছয়, সেই লক্ষ্যে আজ, মঙ্গলবার ‘হেল্প লাইন’ (নম্বর ৯৮০০০০২২০৭) চালু করবে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। শুধু অশান্তির ঘটনাই নয়, রাজনৈতিক কারণে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা-ও ওই নম্বরে ফোন করে জানানো যাবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। জওয়ানদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের সাহস জোগাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ সুপার আমনদীপ-সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের। পুলিশ সুপার বলেন, “কোথাও যাতে গোলমাল না হয়, তার জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে। যে কোনও ধরনের অশান্তি কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে। আমরা সতর্ক রয়েছি। অশান্তি কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে।” যদিও বাহিনীর এই সক্রিয়তা ভোটের দিন দেখা যাবে কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কয়েক দিন আগে রায়নায় গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ সুপার। একই কাজ করতে বলেন জওয়ানদেরও। অশান্তির ইতিহাস রয়েছে, রায়নার এমন কয়েকটি এলাকায় ঘুরে ভোটারদের সাহস জোগান তাঁরা। পুলিশের দাবি, শুধু রায়না নয়, জেলার সব ক’টি থানা এলাকার এ ধরনের অনেক বুথে টহল দিচ্ছে বাহিনী। তাঁরা মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। ভোটারদের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের পরে গোলমাল তেমন একটা হয়নি। এখনও পর্যন্ত সে ভাবে কোনও হুমকিও আসেনি।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ৩৫৩টি বুথকে ‘অশান্ত’ বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। তবে আরও কয়েক’শো বুথে গোলমাল হতে পারে ধরে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করছে জেলা পুলিশ। সূত্রের খবর, গত কয়েকটি ভোটে রাজনৈতিক কারণে গোলমাল হযেছিল এমন বুথ বা এলাকায় বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থার কথা ভেবে রাখা হয়েছে। মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, রায়না, জামালপুর, বর্ধমান থানা এলাকায় পুলিশ বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অশান্ত’ বুথগুলিতে যাতে তিন বার বাহিনী টহল দেয়, তার ব্যবস্থা করাও ভাবনায় রয়েছে। যদিও পুলিশ সুপারের আশ্বাস, “সব বুথেই বাহিনী টহল দেবে।”

বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন জওয়ানেরা। এমনকি, কোথাও কোনও অসুবিধা হলে তাঁদের জানাতে বলছেন। এক জওয়ান বলেন, “ভোটারদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। সকলে যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে পারেন, সেটাই লক্ষ্য। ভোটদানে উৎসাহ দিচ্ছি।” বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতিটি থানা থেকেই সব পক্ষের নেতাদের ডেকে পাঠিয়ে বা ফোন করে গোলমাল না করা, হুমকির অভিযোগও যাতে না ওঠে, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে।

তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “ভোটে অশান্তি নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করে। লোকজন নেই, সে কারণে ভোটের আগে সন্ত্রাসের গল্প ছড়ায়।” বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সন্দীপ নন্দী বলেন, “এ বার আরও কড়া নজরদারিতে ভোট হবে। পঞ্চায়েতের মতো ভোট হবে না। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দেবেন। তাতেই তৃণমূল আতঙ্কিত।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “ভোটের দিন বাহিনীকে দেখা যাবে তো?”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

central forces Bardhaman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy