Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

পাণ্ডবেশ্বরে বেশি ভোটে ‘সন্ত্রাস’ দেখছে বিরোধীরা

আসানসোল উত্তরে ৭১.১৬ শতাংশ ভোটের হার নিয়ে তৃণমূলের একাংশের ব্যাখ্যা, গত কয়েকটি লোকসভা ভোটেই এই এলাকায় দলের ফল ভাল হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের ভোটে দল পিছিয়ে পড়ে এখানে।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ ০৮:৪৮
Share: Save:

চতুর্থ দফায় রাজ্যে যে চার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হল সোমবার, তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোটের হার আসানসোল কেন্দ্রে। ৭৩.২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮০.৭২ শতাংশ। আসানসোল কেন্দ্রের সাত বিধানসভা এলাকার মধ্যে আবার সবচেয়ে কম ভোটের হার আসানসোল উত্তরে, সবচেয়ে বেশি পাণ্ডবেশ্বরে। ভোটের হার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ ও চর্চা।

আসানসোল উত্তরে ৭১.১৬ শতাংশ ভোটের হার নিয়ে তৃণমূলের একাংশের ব্যাখ্যা, গত কয়েকটি লোকসভা ভোটেই এই এলাকায় দলের ফল ভাল হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের ভোটে দল পিছিয়ে পড়ে এখানে। ২০২২ সালের উপনির্বাচনে এখান থেকে ‘লিড’ পেলেও অন্য কয়েকটি এলাকার তুলনায় তা ছিল কম, মাত্র ১৬ হাজার। তৃণমূল কর্মীদের অনেকের দাবি, কুলটি ও আসানসোল উত্তর এলাকায় হিন্দিভাষী রয়েছেন বেশি। লোকসভা ভোটে দলের ফল খারাপ হওয়ার পিছনে তা কারণ হতে পারে বলে ধারণা তাঁদের।

পাণ্ডবেশ্বরে ৭৬.৪৭ ও বারাবনিতে ৭৪.০২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর পিছনে সন্ত্রাসকে দায়ী করছে সিপিএম। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ভোটের হার কম-বেশি নিয়ে এখনও কিছু বলার সময় আসেনি। দলের নিজস্ব সমীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই তা বলা সম্ভব। তবে তাঁর অভিযোগ, ‘‘পাণ্ডবেশ্বর সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। তার পরেই সন্ত্রাসের রেকর্ড বারাবনির আছে। প্রাথমিক ভাবে ভোটের হারে এগিয়ে থাকা তারই প্রতিফলন বলা যেতে পারে।’’

বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে দল এগিয়ে থাকবে বলে বিশ্বাসী তাঁরা। তবে তাঁরও অভিযোগ, ‘‘পাণ্ডবেশ্বরে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে ভোট বৈতরণি পার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে তৃণমূল। তাতে কোনও লাভ হয়েছে কি না, ফল প্রকাশের পরে বোঝা যাবে।’’

পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘সন্ত্রাসের বুলি আওড়ানো ছাড়া বিরোধীদের বলার কিছু নেই। কয়েক দিনের মধ্যেই মন্ত্রী মলয় ঘটকের নেতৃত্বে বিধানসভা ধরে ভোটদানের হিসাব নিয়ে সমীক্ষা শুরু হবে।’’

বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোটের হার দুর্গাপুর পশ্চিম ও দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রে। দুর্গাপুর পশ্চিমে ৭৫.০২ এবং পূর্বে ৭৫.৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। এই কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকায়, ৮৪.৪৫ শতাংশ। তার পরেই রয়েছে গলসি (৮৪.১৬ শতাংশ)। তৃণমূলের রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অশোক রুদ্রের দাবি, রাজ্যের যে ক’টি জায়গায় নির্বাচন হয়েছে সেখানেই দেখা যাচ্ছে, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় ভোটদানের হার অনেক বেশি। পশ্চিম বর্ধমানেও তাই হয়েছে। এর কারণ নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য স্তরে সমীক্ষা
শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE