E-Paper

পরীক্ষা নিয়ামক পদে নিয়োগে শুরু বিতর্ক

কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেবব্রত মিত্রকে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪০
দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের।

দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের।

দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অচলাবস্থা’ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি চাপান-উতোর শুরু। ভোট-প্রচারে দক্ষিণ দিনাজপুরে এসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজ্যপালের ‘কথায়’ চলছে। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই পরীক্ষা নিয়ামক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদে ‘বিনা অনুমোদনে’ তৃণমূল প্রভাবিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন, ‘ওয়েবকুপা’র রাজ্য নেত্রী যোগ দেওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। ‘ওয়েবকুপা’র রাজ্য সভাপতি ব্রাত্য নিজে। ‘তলে তলে’ তৃণমূল-বিজেপি সুসম্পর্কের দাবি তুলছে বামেরা।

রাজ্য-রাজ্যপাল ‘দ্বৈরথ’ কারও অজানা নয়। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেবব্রত মিত্রকে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিছু সমস্যা কাটালেও বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন কার্যত ধুঁকছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব জমি থাকলেও, ভবন নেই। বিভিন্ন কলেজে অনুরোধ করে ক্লাস করাতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। পরীক্ষা নিয়ামক নেই প্রায় তিন মাস। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন গঙ্গারামপুর কলেজের শিক্ষিকা জয়িতা সাহা সরকার পরীক্ষা নিয়ামকের সাম্মানিক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছেন ৮ এপ্রিল। তাঁর নিয়োগ নিয়েই বিতর্ক।

জয়িতা ‘ওয়েবকুপা’র রাজ্য কমিটির সহ-সম্পাদক। তাঁর যোগদানে কলেজ পরিচালন সমিতি ও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত অনুমোদন নেই। জয়িতা এ দিন বলেন, ‘‘কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি গৌতম দাস ও অধ্যক্ষ দীপক জানার মৌখিক অনুমোদনে যোগ দিয়েছি। কলেজ করেই দায়িত্ব সামলাব।’’ গৌতম-দীপক দু’জনেই তা মেনে নিয়েছেন।

গঙ্গারামপুর কলেজে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত সদস্য তথা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "বিষয়টি শুনেছি। উপাচার্যকে জানাব। লিখিত অনুমোদন ছাড়া, যোগদান করা যায় বলে আমি জানি না। ওই কলেজের অন্য এক অধ্যাপক সজল সরকারকে আমরা ছাড়িনি।’’ উপাচার্য দেবব্রত বলেন, ‘‘কেউ রাজি হচ্ছিলেন না। জয়িতা রাজি হলেন বলে ওঁকে সাম্মানিক পদে নিয়োগ করলাম। সামনেই পরীক্ষা। উপায় কী!’’

বাম প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্ত বলেন, ‘‘সামনে তৃণমূল-রাজ্যপাল লড়াই। পিছনে বিজেপি-তৃণমূল ভাই-ভাই। ভোটদাতারা বোকা?’’ বিষয়টি নিয়ে ওয়েবকুপার রাজ্য সভাপতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কিছু বলতে চাননি। তাঁকে ফোন করে, বার্তা পাঠিয়ে জবাব মেলেনি। তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ উড়িয়ে সুকান্ত বলেছেন, ‘‘রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় চালালে তো সেখানে ওয়েবকুপার নেত্রী সুযোগ পেতেন না। ব্রাত্য ভুল বলছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CV Ananda Bose

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy