দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী তৃণমূলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ। যা শালীনতার সীমা অতিক্রম করেছে বলে দাবি করে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছিল তৃণমূল। বুধবার কলকাতায় কমিশনের দফতরে গিয়ে দিলীপের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকে আসে তৃণমূলের দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবেই কমিশনকে ‘মেসো’ বলে তোপ দাগেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ।
বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমনে গিয়ে দিলীপ বলেন, “আমার অবাক লাগল একটা চিঠি দিতে তৃণমূলের দশ জন গিয়েছে! ভাই কী এমন হয়ে গিয়েছে, সকালে উঠে মেসোর বাড়ি দৌড়েছ?” এখানেই থামেননি মেদিনীপুরের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ। তাঁর সংযোজন, “তোমরা রাস্তাঘাটে দাঁড়িয়ে কার নামে কী না বলেছ! আমরা তো মেসোমশাইয়ের কাছে যাই না, যে মেসোমশাই, কান মুলে দিন। আজকে রাস্তায় রাজনীতি করতে পারছ না। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে হচ্ছে।”
তৃণমূল অবশ্য দিলীপকে পাল্টা আক্রমণ করে জানিয়েছে, ভুল থেকেও শিক্ষা নিচ্ছেন না দিলীপ। এই প্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “দিলীপ ঘোষ ভারতের এক মাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অশালীন মন্তব্য করেছেন। নারীদের নিয়ে তাঁর এই সব মন্তব্যের পরেও তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই। এটা দুর্ভাগ্যের।”
মঙ্গলবার দিলীপ মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘‘বিহার, ইউপি থেকে দিদি গোয়াতে গিয়ে বলেন গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরাতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরার মেয়ে।’’ এর পরেই তিনি মমতার উদ্দেশে কুরুচিকর ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। মমতাকে নিয়ে দিলীপের মন্তব্যের প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। তারই প্রেক্ষিতে রিপোর্ট চায় কমিশন। কমিশনও তৃণমূলের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এবং প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে দিলীপকে শো-কজ় করে। দিলীপের দলও ওই মন্তব্যের নিন্দা করে তাঁর এ হেন আচরণের ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠায়। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করার অভিযোগে দিলীপের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক মহিলা। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের আইনজীবী সেলের তরফেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy