সীমান্তের গ্রাম হুদাপাড়ায় সাইকেলে জেলাশাসক। ছবি: প্রণব দেবনাথ।
সীমান্তের ভোটারদের মনে ভরসা যোগাতে রাস্তায় নামলেন জেলা শাসক।
শুক্রবার সকালে জেলা, মহকুমা ও ব্লক আধিকারিকদের নিয়ে জেলাশাসক চাপড়ার সীমান্ত গ্রাম হুদাপাড়ায় যান। সেখানে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তিনি ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান। সেই সঙ্গে তাঁদের ভোটদানে কোনও সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন। না হওয়ার শ্রুতি দেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে তিনি গ্রামের ভিতরে বর্ডার রোডে সাইকেল চালান।
বাংলাদেশের সঙ্গে নদিয়া জেলার ধানতলা থেকে হোগেলবেড়িয়া পর্যন্ত দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অনেক গ্রাম আছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কাঁটাতারের ওপারে বাংলাদেশের দিকে। সেই সমস্ত গ্রামের মানুষকে বিএসএফের অনুমতি নিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার গেট পেরিয়ে ভারতের মূল ভূখন্ডে যোগাযোগ রাখতে হয়। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো এই সমস্ত গ্রামেও বুথ তৈরি করে ভোট গ্রহণ হয়। চাপড়ার হুদাপাড়া এমনই সীমান্ত গ্রাম। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে বুথ তৈরি করে ভোটগ্রহণ হয়। গ্রামে ভোটার প্রায় ৬১২ জন। মহিলা ভোটার ২৭৮ জন। যদিও চাপড়ার বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তি হলেও হুদাপাড়ায় কোনওদিন অশান্তির খবর নেই। এদিন জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ সেখানকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শোনেন। তবে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ তাঁকে কেউ করেনি।
সাধারণ ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে, তাঁদের ভরসা দিতে নানা পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই মত জেলা প্রশাসনের তরফেও নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এদিন সেরকমই পদক্ষেপের অংশ হিসাবে হুদাপাড়ায় পা রাখেন জেলা শাসক। জেলাশাসককে কাছে পেয়ে কার্যত বেশ খুশিই স্থানীয়রা। তাঁরা প্রশাসনিক কর্তার কাছে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জেলাশাসক বলেন, “এখানকার মানুষ ভোট নিয়ে কোনও সমস্যার কথা জানাননি। তবে অন্য সমস্যার কথা বলেছেন। নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে আমি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে কথা বলে সেই সব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy