E-Paper

ভোটের আগে জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্রীয় কমিশনের

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিগত কয়েকটি ভোটের বছরের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি আগাম খতিয়ে দেখা শুরু করেছে কমিশন। রিপোর্ট দেখে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে, প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত পুলিশ-প্রশাসনের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৬
An image of election

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাজ্যে ভোটের বিজ্ঞপ্তি বা দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও, বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গ্রেফতারি বা টাকা উদ্ধারের মতো ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। পুলিশ ও প্রশাসনের সে সাপ্তাহিক রিপোর্ট জমা পড়ছে কলকাতার নবান্নে। সেখান থেকে তা যাচ্ছে কমিশনে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিগত কয়েকটি ভোটের বছরের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি আগাম খতিয়ে দেখা শুরু করেছে কমিশন। রিপোর্ট দেখে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে, প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত পুলিশ-প্রশাসনের।

রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক কর্তায় কথায়, ‘‘আগাম জেলাওয়াড়ি তথ্য নেওয়ার পরে, তা বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। কোন এলাকার কী অবস্থা, কোথায় স্পর্শকাতর পরিস্থিতি হতে পারে— তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’ তিনি জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে আনন্দ কুমারকে। তিনিও সার্বিক তথ্য নিয়ে কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, লোকসভা বা বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের জেলা স্তরের তথ্য কমিশন নিয়ে থাকে। কিন্তু এ বার ভোট ঘোষণার বেশ আগে থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন কী রিপোর্ট দিচ্ছে তা নজর রাখছে কমিশন। বিশেষ করে, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা অভিযুক্তদের গ্রেফতার, কোথাও টাকা উদ্ধার, আইন-শৃঙ্খলাজনিত ঘটনা, সাধারণ গ্রেফতার ছাড়াও, ১০৭ ধারায় (গোলমাল না করার মুচলেকা দেওয়া) ক’জনকে নোটিস ধরানো হয়েছে, সে সব তথ্য নিচ্ছে কমিশন। প্রতি থানায় এ জন্য এক জন অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি সব তথ্য নিয়ে তা রিপোর্ট তৈরি করছেন। কমিশনারেট হলে থানা থেকে রিপোর্ট যাচ্ছে স্পেশাল ব্রাঞ্চে। আর জেলা পুলিশ হলে জেলা গোয়েন্দা শাখা রিপোর্ট তৈরি করছেন। তার পরে তা পুলিশ কমিশনার বা জেলার ক্ষেত্রে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে রাজ্যের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা)-র কাছে যায়। সেখান থেকে সম্পূর্ণ রিপোর্ট কমিশনে যাচ্ছে।

এর বাইরে, প্রশাসনের তরফে জেলা স্তরের আর একটি রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। সমান্তরাল সেই রিপোর্টও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায় থেকেও কমিশনে যায়। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘জেলার পুলিশ, প্রশাসনের বদলি কমিশনের নিয়ম মেনে এক দফায় হয়ে গিয়েছে। ভোটের আগে, একাধিক রিপোর্ট দেখে পুলিশ বা প্রশাসনে প্রয়োজনে কমিশন বদলি করার নির্দেশ দিতে পারে। এ ছাড়া, ভোটের প্রস্তুতি থেকে আধা সামরিক বাহিনী নিয়োগ হলে, নির্দিষ্ট এলাকায় কী হবে তা-ও বেশিরভাগ সময় ঠিক করা হতে পারে।’’

ইতিমধ্যে রাজ্য পুলিশের সহকারী সাব ইনস্পেক্টর থেকে আইপিএস এবং প্রশাসনের ব্লক স্তর থেকে সচিব পর্যায়ে নির্দেশিকা মেনে বদলি হয়েছে। সব অফিসারদের নথিপত্র কমিশনে জমাও পড়ে গিয়েছে।

রাজ্য পুলিশের এক পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার জানান, প্রথমেই বিডিও থেকে ডিএসপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে জেলা পুলিশ সুপার বা মহকুমাশাসক, জেলাশাসকদের নজর দেয় কমিশন। তার সঙ্গে এলাকার থানা ও প্রশাসনের কারা আছে তা দেখে। নিরপেক্ষ ভোটের স্বার্থে ব্যবস্থাগুলি নেওয়া হয় বলে দাবি করা হয়ে থাকে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 election comission Election Commission of India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy