হোর্ডিং, পোস্টার সরিয়ে বা দেওয়াল লেখা মুছে জনপরিসর বা সরকারি এলাকার অঙ্গহানি রুখতে তাঁরা সক্রিয় ভাবে কাজ করছেন বলে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম নিয়োগী জানালেন। গত ১৬ মার্চ রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পর থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে।
এই ক’দিনে রাজ্যে এক লক্ষ ৯১ হাজার ২২২টি হোর্ডিং, পোস্টার সরানো বা দেওয়াল মোছা হয়েছে বলে সিইও দফতর সূত্রে জানা যায়। লোকসভা ভোটের প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে যেখানে ভোট হচ্ছে, সেই কোচবিহারে ১০৭৩১টি, আলিপুরদুয়ারে ৩৬০৮টি এবং জলপাইগুড়িতে ৫৫২১টি অভিযোগের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিবরণ তুলে ধরেন অতিরিক্ত সিইও। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১৫০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অরিন্দম জানান, যে কোনও বেআইনি লেনদেন রুখতে তল্লাশির জন্য রাজ্যের অন্দরে ৫৭৬টি নাকা বসেছে। ৯১টি নাকা বসেছে আন্তঃরাজ্য সীমানায়। নিরাপত্তাকর্মীদের ৯৩৫টি ফ্লাইং স্কোয়াড ঘুরে ঘুরে কাজ করছে। নির্দিষ্ট জায়গায় নজরদারির ঘাঁটি তৈরি হয়েছে ১২২টি। ভোটের আবহে রাজ্যে ৫২,১৫৭টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র জমা নেওয়ার কাজও চলছে জোর কদমে। ইতিমধ্যে ২১,৪৭৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। ব্যাঙ্ক বা অন্যত্র সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষীদের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি জেলা স্তরে দেখা হচ্ছে।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, ২৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার মদ, ১১ কোটি ১২ হাজার টাকার নিষিদ্ধ মাদক এবং ৩২ কোটি ৫২ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার অন্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও সিইও-র দফতর জানায়। সিইও-র দফতরের ‘সুবিধা’ অ্যাপে রাজ্যে জনসভার জন্য ১২৪৯টি আবেদন জমা পড়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)