(বাঁ দিকে) কর্নাটকের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী লক্ষ্মী হেব্বলকর। বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাতিল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকের মহিলা মন্ত্রীর উদ্দেশে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাতিল। রাজ্যের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী লক্ষ্মী হেব্বলকরকে তিনি ভাল করে ঘুমোনোর জন্য মদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। অভিযোগ, এই ধরনের মন্তব্য করে সঞ্জয় শুধু মন্ত্রীকেই নয়, সমগ্র নারী সমাজকেই অপমান করেছেন। বিজেপির শেষের সময় ঘনিয়ে এসেছে বলেও জানিয়েছেন বিরোধীরা দলের সদস্যেরা।
শনিবার কর্নাটকের বেলগাবী শহরে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানেই ছিলেন সঞ্জয়। ওই লোকসভা কেন্দ্রে এ বার কংগ্রেসের প্রার্থী মন্ত্রী লক্ষ্মীর পুত্র মৃণাল রবীন্দ্র হেব্বলকর। তিনি লড়ছেন বিজেপি নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টরের বিরুদ্ধে। শেট্টরের সমর্থনেই ভাষণের সময়ে কংগ্রেস প্রার্থীর মাকে আক্রমণ করেন সঞ্জয়। এলাকায় বিজেপির প্রভাব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি কর্নাটকের আটটি আলাদা আলাদা অঞ্চলে দলের ইন-চার্জ হিসাবে কাজ করেছি। সব জায়গাতেই দেখেছি, মহিলাদের একটা বড় অংশ বিজেপি আসছেন। তাই আমি চাই, আমার এখানকার দিদি (লক্ষ্মী) ভাল করে ঘুমোনোর জন্য রাতে ঘুমের ওষুধ খান। অথবা বাড়তি আরও এক পেগ মদ খেয়ে ঘুমোতে যান। ওঁর ঘুম উড়ে গিয়েছে।’’
সঞ্জয়ের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে কংগ্রেস। বিজেপিকে ‘নারীবিরোধী দল’ বলে উল্লেখ করে একযোগে আক্রমণ করেছেন বিরোধীরা। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে কর্নাটক কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়েছে, ‘‘মহিলাদের যাঁরা ছোট করে দেখেন, তাঁদের শেষের সময় ঘনিয়ে এসেছে। বিজেপিরও পতন শুরু হয়েছে। তাই ওদের নারীবিরোধী মানসিকতা প্রকাশ্যে আসছে। কৌরব এবং রাবণের মতো ওরাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’’
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে আর তিন দিন বাকি। ১৯ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে। তবে কর্নাটকে সেই দফায় ভোট নেই। সেখানে প্রথম ভোট আগামী ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায়। ওই দিন কর্নাটকের ১৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। তার পর তৃতীয় দফায় ৭ মে আরও ১৪টি আসনে ভোট রয়েছে কর্নাটকে। মোট দু’দফাতেই দক্ষিণের এই রাজ্যে ভোটগ্রহণ পর্ব মিটে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy