আজ ধূপগুড়িতে মোদীর জনসভার মাঠ থেকে দু কিলোমিটার দূরে ঝুমুরে অভিষেকের সভা। ছবি দীপঙ্কর ঘটক।
রাতারাতি কর্মসূচি বদলে ঝড়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলতে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ, শুক্রবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ধূপগুড়িতে একটি রোড শো এবং ঝুমুরে জনসভা ছিল। সূত্রের খবর, রোড শো বাদ দিয়ে শুধু জনসভা করে অভিষেক চলে আসবেন ময়নাগুড়ির বার্নিশে। সেখানে একটি ছোট সভাস্থল তৈরি করা হচ্ছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতিনিধিদের এখানে নিয়ে আসা হবে এবং অভিষেক তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার ঝড়ে দুর্গতদের ক্ষতিপুরণ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক। তৃণমূল সূত্রের খবর, আজ বার্নিশে এসে বিজেপিকেও পাল্টা চ্যালেঞ্জ দেবেন অভিষেক।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধূপগুড়িতে সভা করে ঝড় দুর্গতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিলেন। বিজেপির পরিকল্পনা ছিল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে মোদীর সঙ্গে দেখা করানোর। মৃতদের পরিবারের সদস্যদেরও মোদীর সভায় দেখা করাতে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। যদিও শেষ মুহূর্তে তা সম্ভব হয়নি। তা নিয়ে ক্ষোভ-হতাশাও রয়েছে বার্নিশে। এ বার অভিষেক ঝড়ের গ্রামে এসে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিজেপিকে পাল্টা চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বস্তুত, ঝড়ের পরদিন শিলিগুড়িতে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচতিতে এসে ঝড়ে আক্রান্তদের দেখতে শিলিগুড়ির নার্সিংহোমেও গিয়েছিলেন অভিষেক। জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “ঝড়ে দুর্গতদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে আমাদের সাংসদেরা দিল্লি পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। এ বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথাবলতে আসছেন।”
বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে বড় ভান্ডানি মাঠে অভিষেকের সভা বা সাক্ষাৎ কর্মসূচি হবে। ১৫০ ফুট লম্বা এবং ১০০ ফুট চওড়া হ্যাঙ্গার তৈরি করা হচ্ছে সভায় আগতদের বসার জন্য। মহেশ রায় নামে বার্নিশ কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বৃহস্পতিবার বলেন, “শুনলাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের গ্রামে আসবেন। আমরা যাব ওঁর সঙ্গে দেখা করতে। আমাদের সমস্যার কথা তুলে ধরব।’’ তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী দিনকয়েক ধরেই ঝড়-বিধ্বস্ত এলাকায় রয়েছেন। তিনি এ দিন বলেন, “দুর্ভাগ্যের বিষয়, প্রধানমন্ত্রী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার এত কাছে এলেন। অথচ, কারও সঙ্গে সঙ্গে দেখা করলেন না। এমনকি, মৃতের পরিবারের সদস্যেরা ওঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁর দেখা পাননি। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে আসছেন ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে দেখা করতে। আমরা সব সময় তাঁদের পাশে রয়েছি।’’ এ নিয়ে অবশ্য বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর কটাক্ষ, “যাঁরা সত্যি পাশে থাকেন তাঁরা বেশি বলেন না। যাঁরা বেশি বলেন, তাঁরা সত্যি পাশে থাকেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy