বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র এই হতশ্রী দশার জন্য সিপিএম নেতৃত্বকেই দায়ী করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাদের তরফে জানানো হল, জোটের দ্বিতীয় বৈঠকেই প্রবল বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি এবং তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই যে চিড় ধরে তা জোড়া দেওয়া যায়নি। সিপিএমের পাল্টা বক্তব্য, নিজেদের ‘সেটিং’কে আড়াল করতে তৃণমূল অন্যদের দোষারোপ করছে, যাতে নজর ঘোরানো যায়।
তৃণমূলের এক নেতার দাবি, বেঙ্গালুরুর বৈঠকের পর ‘ইন্ডিয়া’র যে খসড়া প্রস্তাব তৈরি হয় তাতে আসন সমঝোতার বিষয়টি যোগ করতে অনুরোধ করেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। খসড়া যখন ফিরে আসে, দেখা যায় লেখা রয়েছে, আসন সমঝোতা যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। এই বাক্যে প্রবল আপত্তি জানান তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি এবং অভিষেক।
ওই নেতার বক্তব্য, অভিষেক বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ অত্যন্ত অস্পষ্ট একটি কথা। বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি, তাই জোট রফা শেষ করার জন্য একটি তারিখ নির্দিষ্ট করার জন্য কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী নেতাদের অনুরোধ করেন অভিষেক। প্রবল আপত্তি জানান ইয়েচুরি। তিনি জানান, কোনও তারিখ আগে থেকে দেওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূলের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতার বক্তব্য, “তখনই আমরা বুঝতে শুরু করি এই জোটের ভাগ্য নড়বড়ে।”
সিপিএমের পাল্টা বক্তব্য, মমতা নিজেই জোটকে ঘেঁটেছেন সবচেয়ে বেশি। তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী এখন ধর্নায় বসে বিজেপির থেকে বেশি সিপিএম এবং কংগ্রেসকেই আক্রমণ করছেন। তাতে সুবিধা হচ্ছে বিজেপিরই। বামেদের দাবি, ‘দিদি-মোদীর সেটিং’-এর তত্ত্ব ছড়িয়ে যাওয়ায়, মমতার গায়ে লাগছে। নিজের দিক থেকে নজর সরাতে তিনি অন্য দলগুলিকে দোষারোপ করছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)