আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করার চিঠি পৌঁছেছে জেলার নানা জায়গায়। বিভ্রান্তি, আতঙ্কও ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সংস্কৃতি লোকমঞ্চে সিপিএম নেতা প্রদীপ তা, কমল গায়েনের স্মরণসভায় এসেছিলেন তিনি। সেখানেই দাবি করেন, আধার দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে কেন্দ্র সরকার।
২০১২ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি দিনের বেলায় বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি এলাকায় খুন হন প্রদীপ তা এবং কমল গায়েন। সেই দিনটি স্মরণ করে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে সভা ডাকে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। সেলিম ছাড়াও ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাষ রায়চৌধুরী, জেলা সিপিএমের সম্পাদক সৈয়দ হোসেন। সেলিম বলেন, ‘‘যেই ভোট এসেছে তেমনি আধার কার্ড বাতিল করছে। এরপরে একজন মন্ত্রী বলবে এনআরসি হবে। যেটা অমিত শাহ আগে বলেছিলেন। তারপরে মমতা বলবেন, ‘ভয় নেই আমি চলে এসেছি’। এই রকম একটা বাতাবরণ তৈরি করে বিভাজনের রাজনীতি করা হচ্ছে। তবে ইতিহাস একই ভাবে ঘুরে ফিরে আসে না। এই সময়ে দাঁড়িয়েও আমরা বামপন্থায় শক্তি সঞ্চয় করেছি।’’
বর্ধমানের জামালপুর, মেমারি, ভাতার, কালনার বিভিন্ন অংশে আধার নিষ্ক্রিয় করার চিঠি এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তাঁদের আশ্বস্ত করে চিঠি পাঠানো হয়। ব্লকের আধিকারিকরা এই চিঠি তাঁদের হাতে পৌঁছে দেন। এ দিনও পূর্বস্থলীর জাহান্নগর, কুকসিমলা, দামপালচরের মতো নানা জায়গায় কুড়ি জনের কাছে আধার নিষ্ক্রিয় করার চিঠি পৌঁছেছে। বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, ব্লক প্রশাসনের কাছে জমা পড়া চিঠির সংখ্যা ধরলে দেড়শো পেরিয়ে যাবে। দামপালচরে প্রচুর মানুষ চিঠি পাওয়ায় এ দিন ওই এলাকায় বৈঠক করেন তিনি। অনেকেই আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে সমস্যায় পড়ার কথা জানান। বিধায়ক জানান, চিঠি পেলে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘আধার কার্ড বাতিল নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। মানুষ আতঙ্কিত। তাই সিপিএম আমাদের সুরে কথা বলছে। কিন্তু, রাম-বাম কাউকেই বিশ্বাস করা যাবে না।’’ বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ‘‘আধার কার্ডের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। এই নিয়ে রাজনীতি চলছে। আধার কার্ড বাতিল হলে নথি দিয়ে তা সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করা হচ্ছে। বাম এবং তৃণমূল এই দিয়ে ভোট বৈতরণী পার
করতে চাইছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)