ক্যানিংয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার সারলেন আইএসএফ নেতা তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। ক্যানিংয়ের বেলেখালি গ্রামে বুধবার কর্মিসভা করেন নওশাদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী মেঘনাদ হালদার। ভোটে জিততে কর্মীদের মানুষের দরজায় দরজায় যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ভোটের খরচ সামলাতে প্রয়োজনে মানুষের কাছে ভিক্ষা চাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। ডায়মন্ড হারবারে তিনি নিজে প্রার্থী হতে আগ্রহী বলে এ দিন আবারও জানিয়েছেন নওশাদ।
এ দিন তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নওশাদ বলেন, “আইএসএফ কী জিনিস সেটা যারা আমাদের সঙ্গে লেগেছে, তারা জানে।” তৃণমূল নেতা সওকাত মোল্লাকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে আখ্যা দেন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘‘এক জন ক্যানিং পূর্বের বাঘ বলে নিজেকে। কোনও দিন কোর্টে ওঠেনি। নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে লেগেছিল। মানহানি মামলা করেছি। আদালতে জামিন নিতে হয়েছে। আমার বা আমার দলের কর্মীদের সঙ্গে লাগলে বুঝিয়ে দেব।” ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ দাসের নাম না করে তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট করবেন। সব পার্টির লোকজন এক জায়গায় বসে চা খাবেন, তাতে কোনও অভিযোগ নেই আমার। কিন্তু অন্যায় করলে আইনের মাধ্যমে কোথায় পৌঁছতে হয় সেটা যথা সময়ে বুঝিয়ে দেব।”
সওকাত বলেন, “চার পয়সার নকুলদানা সম্পর্কে আর কী বলব? গত পঞ্চায়েতে ভাঙড়ে মানুষের গণতন্ত্র হরণ করেছে। তৃণমূল কর্মীদের খুন করেছে। এখন বড় বড় কথা বলছে। ক্ষমতা থাকে ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে দেখাক।” পরেশ বলেন, “নওশাদ বিজেপির দালাল। বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে এখানে এসে নোংরা খেলায় মেতেছে।”
এ দিন সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, “আমি চাইছি প্রার্থী হতে। কিন্তু দলের একটা চিন্তাভাবনা আছে। দল যা নির্দেশ দেবে সেটাই হবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)