Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

বসুনিয়ার প্রচারে ‘আড়ালে’ কেন রবীন্দ্রনাথ, জল্পনা

কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার মধ্যে পড়েছে পুরসভা এলাকা। গত পুরবোর্ডে পুরসভার বেশির ভাগ আসনে জয়ী হয় তৃণমূল।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৯
Share: Save:

দু’দিন ধরে কোচবিহার পুরসভায় প্রচার করছেন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। তাঁর সঙ্গে হাঁটছেন দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। অথচ, সেই মিছিলে বা জনসংযোগে দেখা যাচ্ছে না কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। যদিও মনোনয়ন পত্রে তিনি জগদীশের নামের প্রস্তাবক। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর-কর বৃদ্ধি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উপরে ক্ষুব্ধ পুরসভার নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাই তাঁকে ‘আড়ালে’ রাখা হচ্ছে। যদিও প্রকাশ্যে তা মানতে চাইছেন না তৃণমূলের কেউ। জগদীশ বলেন, “আমি কোচবিহার শহরে পায়ে হেঁটে জনসংযোগ করছি। রবি’দার পক্ষে হাঁটা সম্ভব হবে না। তাই তাঁকে হাঁটা পথে জনসংযোগে ডাকছি না। এর মধ্যে অন্য কোনও বিষয় নেই।” রবীন্দ্রনাথ বলেন, “সবার এক সঙ্গে প্রচারের কোনও মানে হয় না। আমি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিজের মতো করে কাজ করছি।”

কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার মধ্যে পড়েছে পুরসভা এলাকা। গত পুরবোর্ডে পুরসভার বেশির ভাগ আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। কিন্তু বিধানসভা ও লোকসভার ফলের নিরিখে দেখা গিয়েছে, বড় অঙ্কের ভোটে কোচবিহার শহরে পিছিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। কিছু দিন আগেই কোচবিহারে পুরকর বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ শুরু হয়। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, দীর্ঘ সময় পুরকর বৃদ্ধি করা হয়নি। সে জন্য নিয়ম মেনে সমীক্ষা করে ওই কর বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পৌঁছয়। কিছু দিন আগেই প্রশাসনিক সভায় যোগ দিতে কোচবিহারে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেখানে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং দলের জেলা সভাপতি তথা কাউন্সিলর অভিজিৎ দে ভৌমিকের সঙ্গে কথা বলেন। এর পরে, পুরকর বৃদ্ধি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন। যা নিয়ে কোচবিহার শহরে পোস্টার-হোর্ডিংয়ে ভরিয়ে দেয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সে পুরকর বৃদ্ধি স্থগিত রাখার বিষয়টি সামনে রেখেই পুরসভার মানুষের মন কাড়তে চেষ্টা করছে তৃণমূল। দলের একটি অংশ মনে করছে, রবীন্দ্রনাথ কে সামনে রাখলে কিছু জায়গায় সে প্রচার ধাক্কা খেতে পারে। আবার আর একটি অংশের মতে, রবীন্দ্রনাথ শহরের পরিষেবা ও উন্নয়নের কাজ করেছেন। পুর কর্মীদের দাবিদাওয়ার দিকেও তাঁর নজর রয়েছে। তাই তাঁকে সামনে রাখলে লাভই হবে। যদিও বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসুর টিপ্পনী, “তৃণমূল যাঁকে নিয়েই প্রচার করুক না কেন কোনও লাভ হবে না।”

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE