তমলুকে বিজেপির প্রার্থীর প্রচারে শুভেন্দু। ফাইল চিত্র।
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তিনি জনসংযোগ শুরু করেছেন। তমলুকে তাঁর নাম এখনও ঘোষণা করেনি বিজেপি। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্টকরে দিলেন, একসময় তাঁর দখলে থাকা এই আসনে এ বার পদ্ম প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, তমলুকের বর্তমান সাংসদ, তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির নেতৃত্ব ও দলের পঞ্চায়েত পদাধিকারীদের নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সভা হয় মেচেদা বাজার সংলগ্ন এক বেসরকারি অতিথিশালায়। সেখানে শুভেন্দু ও অভিজিৎ দু’জনেই ছিলেন। দলীয় সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের জন্য দলের প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ-সহ দীর্ঘ সময় ধরে বক্তব্যের মাঝেই শুভেন্দু জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন, তমলুক লোকসভায় দলের প্রার্থী হিসেবে একটিই নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এক-দু’দিনের মধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে যাবে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও শুভেন্দু বলেন, ‘‘তমলুকে কে প্রার্থী হবেন তা জেনে গিয়েছে সবাই।’’
দিব্যেন্দু বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘দিব্যেন্দু অধিকারী চাইছেন এই নির্বাচনে বিজেপির কর্মী হিসেবে কাজ করতে। তিনি পরোক্ষভাবে আমাদের সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। তিনি কোনও পদ, কোনও দ্বায়িত্ব না নিয়ে, প্রাথমিক সদস্য হয়ে এ বারের নির্বাচনে বিজেপির একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতে চান কাঁথি ও তমলুকে। সেই ইচ্ছে পূর্ণ করবেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন।’’ আজ, শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর উপস্থিতিতে দিব্যেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা। শুভেন্দু জুড়ছেন, ‘‘দিব্যেন্দু অধিকারী কাঁথি কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দু’বার কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর, তিনবার বিধায়ক হয়েছেন। দু’বার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন । স্বাভাবিকভাবেই তিনি রাজ্যের একজন গুরুত্বপুর্ন রাজনৈতিক কর্মী । স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর চাহিদা আছে যে তাঁকে বিজেপি গ্রহণ করে একজন প্রাথমিক সদস্য করুক।’’
এ দিন শুভেন্দু আরও জানান কেন তিনি লোকসভার ভোটে লড়াই করতে চান না। শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাকে কাউকে বলতে হয়নি। আমার বাড়িতে দুটো ‘সিট’ ছিল। কিন্তু আমি অমিত শাহ ও নাড্ডাজিকে প্রথমেই বলেছিলাম, যে একটা সিটে যদি কর্মীরা চায় আমার বাড়ির লোক লড়বে। দলীয়ভাবে কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় দু’জন পর্যবেক্ষকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা সমীক্ষা করে জানিয়েছিলেন আমাকে অথবা সৌমেন্দুকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছেন। আমি যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করার শপথ নিয়ে লড়ছি, তাই আমি দিল্লি যেতে চাই না। কর্মীরা চেয়েছে, তাই দল সৌমেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করেছে। এখানে অন্য কোনও গল্প নেই।’’
তৃণমূলের পাল্টা খোঁচা, বিজেপি আবার কোন মুখে অন্য দলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তোলে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy