E-Paper

বঙ্গে দ্বিতীয় হওয়া ২২ আসনে বিশেষ নজর দিচ্ছে বিজেপি

লোকসভা ভোটে গোটা দেশে ৩৭০ আসন জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:১২
amit shah

অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।

গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যে ২২টি আসনে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে ছিল, সেই আসনগুলিতে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এ বার তারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে।

লোকসভা ভোটে গোটা দেশে ৩৭০ আসন জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে সন্দেশখালির ঘটনা ও মার্চ মাসের গোড়াতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরপর দু’বার পশ্চিমবঙ্গ সফর নিয়ে আলোচনা করতে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার দিল্লিতে চলে এসেছিলেন। সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জমানায় হিংসার রাজনীতি নিয়ে প্রচার করতে আজ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। সন্ধ্যায় জে পি নড্ডা, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরে সেখানে বক্তৃতা করেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের পরে ৮০ থেকে ১০০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কিছু আসনও থাকবে। দলের নেতাদের পাশাপাশি চমক হিসেবে কোনও তারকা প্রার্থীও থাকতে পারে। সাংগঠনিক পরিস্থিতির পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়েও আজ আলোচনা হয়েছে।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৮টি আসনে জিতেছিল। বাকি ২৪টি আসনের মধ্যে ২২টিতে তারা দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এর মধ্যে ২১টি আসনে তৃণমূলের কাছে হেরেছিল বিজেপি। গোটা দেশের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও এই গত নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আসনগুলিকে চিহ্নিত করে বিজেপি লড়াইয়ে নামছে। পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে নড্ডাদের সঙ্গে বৈঠকে বিজেপিতে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লকরা, অমিত মালবীয়, সুনীল বনসল, সতীশ ঢোন্ডরা হাজির ছিলেন। সুকান্ত-শুভেন্দুর পাশাপাশি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত অমিতাভ চক্রবর্তীও বৈঠকে যোগ দেন।

আজ দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন। সুকান্ত বলেছেন, ‘‘চোর, চরিত্রহীন, লম্পটরা তৃণমূলের স্তম্ভ। এরাই ভোটটা করায়। তারপরে পাঁচ বছর ওই লোকগুলো এলাকার লিজ ়নিয়ে নেয়। যাতে তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। শেখ শাহজাহান এলাকার বিধায়কের থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক কাছের। কারণ, এই শাহজাহান ভোট চুরি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতান।’’ তাঁর প্রশ্ন, লুটেরাদের অপরাধের ক্ষতিপূরণ জনগণের টাকায় কেন দেওয়া হবে? রাজনৈতিক দলের নেতারা যখন জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারেন না, তখন বুঝতে হবে সেই রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। ওই জন্য পুলিশকে এগিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশকে দিয়ে ক্ষোভ সামলানোর চেষ্টা হলেও তাতে লাভ হবে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 BJP West Bengal TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy