প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের ভোট গ্রহণের সময়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বাড়ানো হল ভোটকর্মীদের সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মীর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং থানার পুলিশের সঙ্গে ডিভিশন থেকেও পুলিশকর্মীদের পাঠানো হচ্ছে ভোটকর্মীদের সঙ্গে। বেলেঘাটার ঘটনার পরে ঝুঁকি এড়াতেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার এক বৃদ্ধা এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম এক যুবকের বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণের সময়ে তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বেলেঘাটায়। ভোটকর্মীরা এলাকায় ঢোকার পরেই বেলেঘাটা মেন রোডে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি। দু’দলের কর্মীরাই পরস্পরের বিরুদ্ধে ওই ভোটে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে সরব হন। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। দু’পক্ষেরই একাধিক জন আহত হন। ওই সংঘর্ষ ঘিরে এলাকার পরিস্থিতি এমনই হয় যে, পুলিশকেও তা সামলাতে বেগ পেতে হয়। পরে ডিভিশনের বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। নির্বিঘ্নে শেষ হয় ভোট গ্রহণ।
জানা গিয়েছে, প্রবীণদের বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণের সময়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা থাকেন। সঙ্গে থাকেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরাও। বেলেঘাটার ঘটনার পরে থানার পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি ভিডিশন থেকে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী পাঠানো হচ্ছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। বৃহস্পতিবারও শহরের একাধিক থানা এলাকায় প্রবীণদের বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিন জন বা চার জন জওয়ানের সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত কর্মীরা। এ দিন ভোট গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত থাকা পূর্ব ডিভিশনের এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে, মশা মারতে কামান দাগা! একটি ভোট নিতে এসেও কার্যত মাছি না-গলার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গোটা বাড়ি ছিল পুলিশে ঘেরা।’’
বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে ডিভিশন থেকেই মূলত বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি দেখা হয়। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সুষ্ঠু ভাবে মেটাতে যা যা করণীয়, তা করতে প্রতিটি ডিভিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোট-পর্ব শান্তিপূর্ণ ভাবে মেটাতে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)