—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে বচসা থেকে মারামারি মঙ্গলবার রাতে। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন দু’জন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ অঙ্গদবেড়িয়ায় তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। মোকাদ্দেস গাজী নামে এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে এলাকার আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা জহিরুল সর্দার-সহ বেশ কয়েক জন আইএসএফ কর্মীকেও মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার দুই পক্ষই ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রাস্তায় কয়েক জন আইএসএফ কর্মী বসেছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁরা সেখান থেকে যাওয়ার সময় আচমকাই আইএসএফ কর্মীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি মোকাদ্দেস গাজি সহ-দুই তৃণমূল কর্মী জখম হন। মোকাদ্দেসের মাথা ফেটেছে। বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আইএসএফের দাবি, জহিরুল একটি মোটর বাইক কিনেছিলেন। সেই বাইক কেনার পর থেকেই এলাকার তৃণমূল নেতারা তোলাবাজির টাকা চাইতে থাকেন তাঁর কাছে। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার রাতে তাঁর কাছে মদ চান মোকাদ্দেস ও তাঁর অনুগামীরা। তা দিতে রাজি না হওয়ায় জহিরুলকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এলাকার আরও কয়েক জন আইএসএফ কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy