—প্রতীকী চিত্র।
ভোটের মুখে দলীয় সাংসদ রাজু বিস্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন বিজেপির জেলার দুই শীর্ষ নেতা। একজন কালিম্পং টাউন সভাপতি, আর একজন দার্জিলিং কমিটির সহ সভাপতি। তাঁদের সঙ্গে দল ছাড়লেন নিমবং আর কালিম্পং শহরের আরও দুই নেতা-সহ তাঁদের অনুগামীরা। মঙ্গলবার কালিম্পঙের প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা ও বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচার হাত থেকে তাঁরা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার পতাকা নিয়ে জানিয়ে দিলেন, আঞ্চলিক দল বাঁচানোর লড়াই তাঁরাও শামিল হলেন।
অনীত বলেন, ‘‘পাহাড়বাসী বিজেপির ভাঁওতাবাজি বুঝে গিয়েছেন। এখন ওদের দলের নেতারাও তা বুঝে দল ছাড়ছেন। আরও অনেকেই যোগাযোগ করছেন। ধীরে ধীরে সব প্রকাশ্যে আসবে। উন্নয়ন বনাম অরাজকতা তৈরির চেষ্টাকে মানুষ হারাবে।’’ আর রুদেন সাদা লেপচা বলেন, ‘‘কালিম্পঙে বিজেপি’র দল তৈরির পিছনে এই নেতারা আছেন। এখন তাঁদেরই দলে এই অবস্থা। খুবই দুঃখজনক।’’
দলীয় সূত্রের খবর, কয়েকমাস ধরেই কালিম্পং এবং দার্জিলিঙের দুই নেতা দলের একাংশের কাজকর্ম নিয়ে খুশি ছিলেন না। বিশেষ করে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পাহাড় কমিটি থাকলেও তা সাংসদের কথা ছাড়া চলে না বলে অভিযোগ উঠছিল। দার্জিলিং পাহাড় কমিটির সহ সভাপতি কমল কাটওয়াল বলেন, ‘‘বিজেপি সংগঠনভিত্তিক দল। এখানে তা সাংসদ নষ্ট করেছেন। উনি যা বলবেন তাই করতে হবে। এটা যেন উনি দোকানের মালিক, আমরা কর্মী। এ ভাবে দল করা যায় না।’’ আর কালিম্পং টাউন সভাপতি মনোজকুমার রিজেলের দাবি, ‘‘দল কালিম্পঙে আমরা তৈরি করলাম। এখন আমাদের কথাই শোনা হয় না। উন্নয়নের কোনও কাজ করেনি। জিটিএ-র কাছে সেই সব কাজের জন্য আমরা আবেদন করব।’’
তবে ভোটের মুখে দলের ভাঙন নিয়ে বিজেপি শিবিরে অস্বস্তি বেড়েছে। বিশেষ করে, সাংসদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলে প্রথমবার এমন ভাবে দল ছাড়ার ঘটনা ঘটল। সাংসদ বলেন, ‘‘বিধানসভার ভোটের পর থেকে দুই নেতার সম্পর্কে নানা খবর আসে। দলের আর ওঁরা নেই। সম্প্রতি নতুন করে দলের কাজ করতে চাইছিলেন। আমি দলীয় সংবিধান মেনে আবেদন করতে বলেছিলাম।’’ এর পরেই সাংসদের দাবি, ‘‘অনীত থাপাকে আমি দেখাব দল ভাঙনোর খেলা কী হয়! ওই দলের পঞ্চায়েত স্তরের অনেকে নির্বাচিত সদস্য বিজেপিতে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy