ভোটে সরকারি কর্মচারী এবং স্কুল শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নতুন নয়। এ বার তাতে সংযোজন হয়েছে বাধ্যতামূলক ৫০ নম্বর পরীক্ষার বিষয়টিও। নির্বাচন কমিশনের সেই নির্দেশ মেনেই শনিবার জেলার তিন মহকুমা এলাকায় ভোটকর্মীদের প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজ, রবিবারও প্রশিক্ষণ চলবে।
তিন মহকুমায় পাঁচটি করে মোট ১৫টি কেন্দ্রে এ দিন ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হয়েছিল। প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন আধিকারিকেরা। জেলায় মোট ২৩৯টি বুথকে ‘পিঙ্ক বুথ’ বা মহিলা পরিচালিত বুথ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র মহিলা ভোটকর্মীরাই ভোট পরিচালনা করবেন। সেই মতো প্রতিটি মহকুমা এলাকায় এ দিন একটি করে মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেরও ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে শুধুমাত্র মহিলা প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, এ দিন বোলপুর মহকুমা এলাকায় ৪২০৮ জন পুরুষ এবং ৩৫০ জন মহিলা ভোটকর্মীকে প্রশিক্ষণে ডাকা হয়েছিল। প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন ২০৩৩ জন। রামপুরহাট মহকুমা এলাকায় মোট ৫১৩২ জন পুরুষ এবং ৪৫০ জন মহিলার মধ্যে ৩০০০ জন ভোটকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সিউড়ি মহকুমায় মোট ৬১৮৮ জন পুরুষ এবং ৪৫০ জন মহিলা ভোটকর্মীর মধ্যে প্রায় তিন হাজার জন এ দিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
এ দিন বোলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বোলপুর কলেজে গিয়ে দেখা গেল, প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের প্রজেক্টর এবং ভিডিয়োগ্রাফির মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মূলত ভোটকেন্দ্রে কী ভাবে ভোট পরিচালনা করতে হবে, ইভিএম খোলা ও বন্ধ সহ সমস্ত কিছু তাঁদের সামনে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। নির্বাচনী প্রশিক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক আজমল হোসেন বলেন, “গোটা জেলায় ১৪ হাজার ৪০০ জন ভোটকর্মীর প্রশিক্ষণ হচ্ছে। আজ অর্ধেক সংখ্যক ভোটকর্মীর প্রশিক্ষণ হয়েছে, বাকি রবিবার করা হবে।’’ তিনি জানান, ভোটকর্মীদের দ্বিতীয় প্রশিক্ষণ শেষে কমিশনের নির্দেশ মতো সকলের কাছে বিষয়গুলি স্পষ্ট হল কি না, তা বুঝে নিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তার ভিত্তিতেই ভোটকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)