(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।
আগামী এপ্রিল মাসেই রাজ্যসভার সাংসদ পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু রাজ্যসভার ভোটে সাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পুনর্মনোনয়ন দিল না বিজেপি। দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে, আগামী লোকসভা ভোটের হিসাব মাথায় রেখেই ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের টিকিট কেটে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
২০১৮ সালে বিভিন্ন রাজ্য থেকে সংসদের উচ্চকক্ষে নির্বাচিতদের মধ্যে এ বার পুনর্মনোনয়ন পাননি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় (গুজরাত), শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (মধ্যপ্রদেশ), পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব (রাজস্থান), মৎস্য ও পশুপালনমন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা (গুজরাত), মাঝারি, ক্ষুদ্র এবং অতিক্ষুদ্র শিল্পমন্ত্রী নারায়ণ রানে (মহারাষ্ট্র), তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (কর্নাটক) এবং বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন (মহারাষ্ট্র)।
বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভা ভোটে মনসুখকে গুজরাতের সুরাত বা ভাবনগর এবং ধর্মেন্দ্রকে তাঁর রাজ্য ওড়িশার সম্বলপুর বা ঢেঙ্কানলে প্রার্থী করা হতে পারে। কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর তিনটি লোকসভার মধ্যে কোনও একটি আসনে প্রার্থী করা হতে পারে চন্দ্রশেখরকে। রাজস্থানের অলওয়ারের নেতা ভূপেন্দ্রর ক্ষেত্রেও একই নীতি নিতে পারেন মোদী-শাহ। ২০১৯ সালে অলওয়ারে জয়ী মহন্ত বালকনাথ যোগী গত ডিসেম্বরে বিধানসভা ভোটে জেতার পরে সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বিকল্প হিসাবে ভূপেন্দ্র জন্য মহেন্দ্রগড়ের নাম আলোচনায় রয়েছে বলেও ‘খবর’।
মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাত বিজেপির সভাপতি ছিলেন রূপালা। ‘দক্ষ সংগঠক’ হিসাবে পরিচিত ওই নেতাকে লোকসভা ভোটের আগে গুজরাতের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে রাজকোট লোকসভা আসনে টিকিটও দেওয়া হতে পারে তাঁকে। কেরলের নেতা মুরলীধরনকে তাঁর জেলা কান্নুর থেকে লোকসভা ভোটে মোদী-শাহ প্রার্থী করতে চান বলেও জল্পনা রয়েছে। যদিও বাম এবং কংগ্রেস রাজনীতিতে আড়াআড়ি বিভক্ত মালয়ালি রাজনীতিতে মুরলীধরনের ‘দাঁত ফোটানো’ শক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানেকে বিজেপি নেতৃত্ব এ বার ‘রাজনৈতিক বানপ্রস্থে’ পাঠাতে পারেন বলে জল্পনা। একদা কোঙ্কণ এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বয়স এখন ৭২। তাঁর ‘প্রভাব’ও এখন স্তিমিত বলেই পদ্মশিবিরের অঙ্ক। গত কয়েক বছরে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং এনসিপির বেশ কয়েক জন প্রভাবশালী নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নারায়ণের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। যদিও দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রবীণ নেতাকে রত্নগিরি-সিন্ধুদুর্গ আসনে মনোনয়ন দিতে পারেন মোদী-শাহেরা। অথবা তাঁর ছেলে প্রাক্তন সাংসদ নীলেশও পেতে পারেন বিজেপির টিকিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy