জনতার মাঝে বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার সাঁকরাইলে সুব্রত জানার ছবি।
তাঁর আসতে কিছুটা দেরিই হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি এসে পড়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। তবে দেরিতে আসার ক্ষতি অবশ্য বাবুল সুপ্রিয় পুষিয়ে দেন তাঁর নিজস্ব ঢঙে। রবিবার হাওড়ার সাঁকরাইলে বিজেপি প্রার্থী প্রভাকর পণ্ডিতের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। বিকেল ৪টের সময় আসার কথা থাকলেও যখন এসে পৌঁছলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উৎকণ্ঠায় রেখে ঘড়ির কাঁটা তখন ৬টার ঘরে।
তবে বাবুল পৌঁছতেই নিমেষে চাঙ্গা হতাশ দলীয় কর্মীরা। চটপট তোড়জোড় শুরু হয় পদযাত্রার। চাঁপাতলা থেকে শুরু হয়ে মিছিল যতই এগোচ্ছিল ততই বাড়ছিল ভিড়। বাবুলকে দেখতে রাস্তার দু’দিকে ভিড় করেছিলেন প্রচুর মানুষ। বাবুলের পরনে ছিল নীল রঙের জিনস এবং কালো শার্ট, পায়ে স্নিকার। রাস্তার দু’পাশের জনতার দিকে হাত নাড়তে নাড়তে আর প্রার্থীকে পরিচয় করাতে করাতে হাঁটছিলেন বাবুল। এক জায়গায় ফুটবল খেলছিল ছেলেরা। মিছিল থেকে বেরিয়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে বল নিয়ে লোফালুফি শুরু করে দিলেন। কখনও আবার রাস্তা ছেড়ে এগিয়ে গেলেন কারও বাড়ির দিকে। তাঁকে দেখার জন্য অপেক্ষারত মহিলাদের কাছে আবেদন জানালেন বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য। এক সময় রাস্তার ধারে চায়ের দোকান দেখতে পেয়ে চায়েও চুমুক দিলেন সেখানে। পর পর দু কাপ চা খেয়ে দোকানিকে উদ্দেশ করে গায়কের মন্তব্য, ‘‘দারুণ হয়েছে।’’ আপ্লুত দোকানিও। ফের মিছিল এগিয়ে চলল বাণীপুর ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত হয়ে মৌড়ির দিকে। পদযাত্রার শেষে বাবুল বললেন, ‘‘আশা করছি এখানে বিজেপি প্রার্থী ভাল ফল করবেন।’’
শ্যামপুরে জোটের মিছিলে বাদশা মৈত্র। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়
এদিন বিকেলে হাওড়ার শ্যামপুরে জোট প্রার্থী কংগ্রেসের অমিতাভ চক্রবর্তীর সমর্থনে কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে হাঁটলেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র। বেলপুকুর থেকে নাউল হাট পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু হয় বিকেল ৪টে নাগাদ। শুরু থেকেই বাম ও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে পায়ে পা মেলালেন বাদশা। পরনে ছিল নীল জিনস। সাদা জামা ঘামে গায়ে লেপ্টে। অনেকেই তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে আসেন। মিছিলে শুধু হাঁটা নয়, হ্যান্ড মাইক ধরে জোট প্রার্থীর হয়ে প্রচারও করলেন তিনি। পদযাত্রার ফাঁকে বললেন, ‘‘প্রচণ্ড গরম। তবে রাজ্যের মানুষ এখন যে অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তার তুলনায় এই গরম কিছুই নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy