মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তীব্র আক্রমণ করল কংগ্রেস। তার সঙ্গেই ফের আরও স্পষ্ট করে মোদী-মমতা আঁতাঁতের অভিযোগ তোলা হল। বাংলায় ক্ষমতায় আসার কোনও সম্ভাবনা না থাকা সত্ত্বেও বিজেপি’র এত বিজ্ঞাপন, এত হোর্ডিং কেন? প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সচিন পাইলট। নিজেই উত্তরটাও দিলেন। বললেন, এ রাজ্যে ভোট কেটে তৃণমূলের সুবিধা করে দিতে চায় বিজেপি। তাই প্রচুর পয়সা খরচ করছে প্রচারে।
নির্বাচনী প্রচারে বাংলায় এসে বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন সচিন পাইলট। দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র নিন্দা করেছেন এই তরুণ কংগ্রেস নেতা। সচিন পাইলট বলেন, ‘‘তৃণমূলের অনেক নেতাই জেলের রুটি খেয়ে এসেছেন, এখনও অনেক নেতা জেলে যাবেন।’’ মদন মিত্রের নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘এই সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী বছরভর জেলে রয়েছেন, তাও তাঁকে মন্ত্রী রেখে দেওয়া হল। কেন? কারণ দুর্নীতির উপর দাঁড়িয়েই সরকার চালাচ্ছে তৃণমূল। বাংলায় দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছেন মমতা।’’ ১৯ মে বাংলা অপশাসন থেকে মুক্ত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন এ দিন।
তৃণমূলনেত্রী সব ক্ষেত্রেই দ্বিচারিতা করেন বলেও সচিন পাইলটের অভিযোগ। স্টিং-কাণ্ডে তো বটেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট হওয়া নিয়েও মমতা দ্বিচারিতা করছেন বলে সচিনের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘অন্য রাজ্যে যখন সিআরপিএফ দিয়ে ভোট করানো হয়, তখন বলা হয়, ভাল। কিন্তু এই রাজ্যে তেমন ব্যবস্থা হলেই বলা হয়, পক্ষপাতদুষ্ট।’’
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ এ দিন ফের জোর দিয়ে তুলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল দিল্লিতে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে চলছে আর বাংলায় গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করছে।’’ কেন্দ্রে এবং বাংলায় মোদী ও মমতা একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন বলে সচিন পাইলট এ দিন মন্তব্য করেছেন।