কিছু দিনের জন্য পুরনো অভ্যেস ভুলে ছিলেন নদিয়ার কিছু নেতা।
সৌজন্যে, জোট নামক স্নায়ুচাপ।
কথায়-কথায় বিরোধীদের হুমকি দেওয়া, ঘরছাড়া করে দেওয়ার মতো জলভাত হয়ে যাওয়া অভ্যেসগুলো সাদা পাঞ্জাবির ঝোলা হাতায় লুকিয়ে গিয়েছিল কয়েকটা সপ্তাহ।
ভোট পরবর্তী সমীক্ষার ফলাফল সামনে আসতেই তাঁরা আর দাঁত-নখ সামলে রাখতে পারছেন না। এমনকী কাল, বৃহস্পতিবার আসল ফলাফল জানারও তর সইছে না।
সোমবার বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের বুথ ফেরত বা ভোট পরবর্তী সমীক্ষা হাওয়াই চটির পদধ্বনি শোনানোর পরেই রাতে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার ভালুকা মুসলিমপাড়ায় বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয় সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে।
সঞ্জীব শেখ নামে ওই পোলিং এজেন্ট সিপিএমের দীর্ঘ দিনের পার্টি সদস্য। এলাকায় সক্রিয় কর্মী। শুধু এই বিধানসভা ভোটেই নয়, বিগত পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লোকসভা ভোটেও তিনি দলের হয়ে সক্রিয় ভাবে প্রচার করেছিলেন।
স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, মূলত যাঁদের কারণে কৃষ্ণনগরের এই এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে হারতে হয়েছিল তৃণমূলকে, সঞ্জীব তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সঞ্জীবের অভিযোগ, ‘‘রাত তখন ১০টা হবে। আমি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ঘরের ভিতরেই ছিলাম। হঠাৎ তৃণমূলের লোকজন বাড়ির সামনে এসে চিৎকার করে গালিগালাজ করতে থাকে।’’
ঘরছাড়া করার হুমকিও বাদ যায়নি। সঞ্জীবের অভিযোগ, ‘‘ওরা (তৃণমূলের লোকজন) বলতে থাকে, ‘যদি ১৯ মে-র মধ্যে বৌ-বাচ্চা নিয়ে এলাকা না ছাড়িস, রেজাল্ট বেরিয়ে গেলে আমরাই এসে তোদের ঘরছাড়া করে দেব।’ এই ঘটনায় আমার স্ত্রী ও দু’টো ছোট-ছোট মেয়ে খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।’’
তৃণমূলের কৃষ্ণনগর-১ ব্লক সভাপতি কার্তিক ঘোষ অবশ্য দাবি করেন, ‘‘সব মিথ্যা কথা। হারের আতঙ্কে সিপিএমের লোকেরা এখন এই সব ভুল বকতে শুরু করেছে।’’
তবে শুধু সঞ্জীবই নন। জেলার নানা এলাকাতেই এখন গুটিয়ে থাকা সাপের ফোঁস শোনা যাচ্ছে। কাল ফল প্রকাশের পরে ‘বুঝে নেওয়া হবে’ বলে চাপা হুমকি শোনা যাচ্ছে অনেক পাড়াতেই। যে কথা তুলে সিপিএমের ভালুকা-জোয়ানিয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রবীর মিত্র বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী সমীক্ষা দেখানো হতেই তৃণমূল আমাদের কর্মীদের নানা ভাবে হুমকি দিতে শুরু করেছে। ওরা বুঝতে পারছে না যে মানুষের সমীক্ষা অন্য কথা বলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy