কংগ্রেস নেতার দোকান পুড়ে যাওয়ার পর। নিজস্ব চিত্র।
ভোট মিটতেই বেশ কয়েকটি জায়গায় শাসক দলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলল বাম-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি।
সোমবার গভীর রাতে দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছির রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি এসটিডি বুথে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। বুথটির মালিক জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সজল দে। দমকলে আসার আগেই দোকানের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ বার দেগঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের জোট প্রার্থী হাসানুর জামান চৌধুরীর হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন সজল। তাঁর কথায়, ‘‘এই কারণেই আমার উপরে হামলা হল।’’ শাসকদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
একই অভিযোগ করেছেন হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের দাদপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বহিরা গ্রামে সিপিএম প্রার্থীর বুথ এজেন্ট বিধান ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ভোটের পরে শাসক দলের ৬ জন তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। তিনি বাড়ি না থাকায় তাঁর বাবা মহাদেব ঘোষকে মারধর করে হামলাকারীরা। বাড়ির টালি ভেঙে দেওয়া হয়। এ খবর জানতে পেরে বিধানবাবু ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালান। তাঁর অভিযোগ, এরপর দক্ষিণ বহিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অমৃতলাল ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় দলটি। বাবাকে মারতে দেখে ঠেকাতে গিয়েছিলেন ছেলে। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের হাত থেকে বাদ যাননি মহিলারা। পুলিশকে অভিযোগ জানানো হলেও এখনও হামলাকারীদের ধরা হয়নি বলে জানিয়েছে ওই পরিবারটি। বেলিয়াঘাটা পঞ্চায়েতের বউকুণ্ডার পায়রাগাছি গ্রামেও সিপিএম এর হয়ে বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন নুর আলম। অভিযোগ, ভোট শেষ হতেই তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় শাসক দলের লোকজন। একইভাবে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বিজেপিও।
হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ এবং হাড়োয়ার গ্রামেও গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার পটুয়া বামনখালি গ্রামে পলাশ বৈরাগী নামে এক ব্যক্তিকে শাসক দলের কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। সন্দেশখালির লস্করপাড়ায় সিপিএম সমর্থক সরফ লস্করকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই একই বিধানসভার ভাঙাতুষখালি গ্রামে বাড়ি সিপিএম নেতা বিনন্দ মণ্ডলকে মারধরের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিনন্দবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মোটরবাইক করে এসে বারে বারে হুমকি দিয়ে যাওয়ায় এলাকার সিপিএম কর্মীরা আতঙ্কিত।’’ সন্দেশখালির সরবেড়িয়া, রাজবাড়ি, মিনাখাঁ, হাড়োয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে একই অভিযোগ আসা শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ সবের জবাবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ দিন বলেন, ‘‘এমন শান্তিপূর্ণ ভোট খুব কম হয়েছে। আমাদের দলের লোকেরা কাউকে আক্রমণ করেনি, বরং উল্টে আমাদের উপরেই হামলা হয়েছে।’’ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দাবি করেছে পুলিশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy