Advertisement
E-Paper

রাজ্য জুড়ে সিন্ডিকেট-রাজ ভাঙার ডাক দিলেন সেলিম

রাজ্য জুড়ে ‘সিন্ডিকেট রাজ’ ভাঙার ডাক দিলেন রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহম্মদ সেলিম। শনিবার শিলিগুড়িতে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ’কথা জানান তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১৬
শিলিগুড়িতে মুখোমুখি অশোক ভট্টাচার্য ও মহম্মদ সেলিম। —নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়িতে মুখোমুখি অশোক ভট্টাচার্য ও মহম্মদ সেলিম। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্য জুড়ে ‘সিন্ডিকেট রাজ’ ভাঙার ডাক দিলেন রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহম্মদ সেলিম। শনিবার শিলিগুড়িতে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ’কথা জানান তিনি। শুক্রবারই শিলিগুড়িতে বসে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ সিপিএমের তৎকালীন আবাসন মন্ত্রী গৌতম দেবকে সিণ্ডিকেট রাজের জনক বলে মন্তব্য করেন। সেই সময় ‘এনডিএ’ সরকার থাকলেও তাঁরা কোনও অভিযোগ আনেননি কেন, সেটার জবাব আগে দিতে হবে তাঁদের বলে পাল্টা দাবি করেন সেলিম। তৃণমূল সরকার সিন্ডিকেটের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আসানসোল থেকে ভুটান সীমান্ত পর্যন্ত কয়লার গাড়িতে তোলাবাজি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সরকারে এলে এটাও বন্ধ করতে হবে বলে জানা তিনি।

সেলিম এদিন সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে তৃণমূল সরকারও পড়ে যাবে।’’ ইচ্ছে করেই তা ভাঙা হচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। তাহলে শাসকদলের অসুবিধা হতে পারে বলেও জানান তিনি। এমনকী রাজ্য জুড়ে তোলাবাজির আখড়া হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। তিনি এদিন আরও বলেন, ‘‘ভুটানে যাওয়ার কয়লার গাড়ি থেকে প্রতি গাড়ি ২ হাজার টাকা করে আদায় করে তৃণমূলের সিন্ডিকেটের লোকেরা।’’ রাজ্য জুড়ে তৃণমূলি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দাওয়াইও দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল ও বিজেপি নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেই বিভিন্ন রকম প্রশ্ন তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ তাঁর।

ইসলামপুরে জনতা দল ইউনাইটেড(জেডিইউ) এর হয়ে তিনি প্রচার করবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এতে কংগ্রেসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে বলেই তিনি জানিয়েছেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও ওই একই কারণে ইসলামপুরে নিজেদের প্রার্থী কানাইয়ালালবাবুর হয়ে কোনও প্রচার করছেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকেও তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে দীপা দাশমুন্সিও ইসলামপুরে প্রচার না করলেও পারতেন বলে মন্তব্য তাঁর। এতে ভুল বোঝাবুঝি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি। তিনি তাঁর ব্যখ্যাও দেন। রায়গঞ্জের সাংসদের দাবি, ‘‘জেডিইউ জোট সঙ্গী হওয়ায় তাঁদের প্রতি বামফ্রন্টের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেসও তাঁদের সমর্থন করেছে। দু’একটি জায়গায় অন্যথা হলেও তাতে মানুষের জোটে যাতে প্রভাব না পড়ে সেই কারণেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।

assembly election 2016 Mohammad Salim syndicate raj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy