Advertisement
E-Paper

আঁটোসাঁটো তিন কমিশনারেটও

ত্রিস্তর বলয়ে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোট গণনা কেন্দ্রের ১০০ মিটার এলাকাকে ঘিরে ১৪৪ ধারা। গণনা পর্বে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিধাননগর, হাওড়া এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকাতেও ব্যবস্থাপনায় কোনও ত্রুটি রাখেনি প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৬ ০১:০৯
নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। বুধবার, বিধাননগরে। ছবি: শৌভিক দে।

নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। বুধবার, বিধাননগরে। ছবি: শৌভিক দে।

ত্রিস্তর বলয়ে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোট গণনা কেন্দ্রের ১০০ মিটার এলাকাকে ঘিরে ১৪৪ ধারা। গণনা পর্বে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিধাননগর, হাওড়া এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকাতেও ব্যবস্থাপনায় কোনও ত্রুটি রাখেনি প্রশাসন।

সল্টলেকে বিধাননগর সরকারি কলেজে রাজারহাট-নিউ টাউন, রাজারহাট-গোপালপুর এবং বিধাননগর বিধানসভার ভোট গণনা হবে। গণনা কেন্দ্র এবং তার বাইরের এলাকা ঘিরে নানা পরিকল্পনার পাশাপাশি, কমিশনারেটের বাকি এলাকাতেও থানা ভিত্তিক নিরাপত্তার পরিকল্পনা তৈরি করেছে বিধাননগর কমিশনারেট।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্রকে ঘিরে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকবে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশের দু’টি বলয়ও। প্রথম পর্যায়ে মোতায়েন হবে লাঠিধারী পুলিশ, পরবর্তী বলয়ে থাকবে সশস্ত্র পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি অংশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। সব মিলিয়ে ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে উপস্থিত থাকবে প্রায় ২৫০ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।

এ ছাড়াও থানা ভিত্তিক হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম, মোটরবাইকে করে নজরদারিতে থাকবে পুলিশ। সেই নজরদারি এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ব্যবহার করা হবে।

পুলিশ জানায়, ভোট গণনা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের বাইরে থাকছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্যাম্প। তবে সে ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যাতে একে অপরের কাছাকাছি না যেতে পারেন কিংবা গোলমালে জড়িয়ে না পড়েন, তার জন্য ক্যাম্পের জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তবে পুলিশের একাংশের ধারণা, ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলিয়ে দশ হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক জড়ো হবেন। তাঁদের কর্মকাণ্ডের উপরে সব সময়েই নজরদারি থাকবে বলে পুলিশের দাবি।

প্রশাসন সূত্রের খবর, হাওড়া পুর-এলাকায় বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষন মন্দির, সেন্ট থমাস চার্চ স্কুল, আইআইইএসটি শিবপুর— এই তিনটি গণনা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানেই বালি, উত্তর হাওড়া, মধ্য হাওড়া, দক্ষিণ হাওড়া এবং শিবপুর বিধানসভার ভোট গণনা হবে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রেই থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাওড়া সিটি পুলি‌শ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রেই স্ট্রং রুম থেকে গণনার ঘর পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৩০ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গণনা কেন্দ্রের বাইরের এলাকার দায়িত্বে গড়ে ২০০ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী থাকবেন।

হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ জানান, তিনটি গণনা কেন্দ্রেই দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে ডেপুটি কমিশনার, দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও তিন জন ইনস্পেক্টর। এ ছাড়াও থাকবেন অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স। এলাকায় টহলদারির জন্য থাকছে ৪টি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ৫টি কুইক রেসপন্স টিম-সহ আরটি মোবাইল ভ্যান। এই সবের পাশাপাশি, গোটা শহরের প্রতিটি এলাকায় মোবাইল মোটরসাইকেল স্কোয়াডও নজরদারি চালাবে বলেও জানান এক পুলিশকর্তা। এ ছাড়াও শহরের মোট ১০টি জায়গায় নাকা চেকিংও চালাবে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের ১০০ মিটার দূরেই আটকে দেওয়া হবে রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সমর্থকদের। গণনা কেন্দ্রের থেকে ২০০ মিটার দূরে রাজনৈতিক দলের ক্যাম্প অফিস করা যাবে।

ব্যারাকপুর মহকুমার ১২টি বিধানসভার ভোট গণনা হচ্ছে দু’টি গণনা কেন্দ্রে। একটি কেন্দ্র পানিহাটির গুরুনানক ইনস্টিটিউটে, অন্যটি ব্যারাকপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজের কমার্স বিল্ডিংয়ে। বুধবার সকালে ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক তথা নির্বাচনী আধিকারিক পীযূষ গোস্বামী নিজে তদারকি করেন দু’টি গণনা কেন্দ্রের। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিংহও গণনা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গণনাকেন্দ্রগুলির আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি হবে। বাঁশের ব্যারিকেডে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গণনা কেন্দ্রগুলিতে ঢোকার রাস্তা। নিরাপত্তার কারণেই মূল রাস্তা খোলা রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকার অন্য রাস্তাগুলি। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পদ মর্যাদার আধিকারিকদের সঙ্গে পুলিশ কমিশনার নিজেও নজর রাখবেন নিরাপত্তা বেষ্টনীর নজরদারিতে। দ্বিতীয় বলয়েও পুলিশ নজর রাখবে কারা ভিতরে প্রবেশ করছে। মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে এই প্রবেশপথে। তৃতীয় বলয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবে আধা সেনা। এক কোম্পানি আধা সেনা রয়েছে ব্যারাকপুর মহকুমার দু’টি গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে।

নজরদারির জন্য থাকছে সিসি ক্যামেরা। নির্বাচনী আধিকারিক ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জন্য মিডিয়া কর্নার করা হয়েছে দু’টি গণনা কেন্দ্রে।

assembly election 2016 vote commisssion
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy