হাড়োয়ার মথুরাপুর গ্রামে মারামারির ঘটনায় হাসপাতালে আহতেরা। ছবি: নির্মল বসু
আইএসএফ ও তৃণমূলের মারপিটে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার মথুরাপুর গ্রামে।
রবিবার রাতের ঘটনায় গুলি-বোমা ছোড়া হয়। বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। ৫ জনকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাড়োয়া থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আইএসএফ-সহ সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরা অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় আব্বাসের সভায় যোগ দেন মথুরাপুরের কিছু কর্মী-সমর্থক। হাড়োয়ার বকজুড়ি পঞ্চায়েতের মথুরাপুরে গ্রামে আইএসএফের পক্ষে মিছিলও করেন তাঁরা। অভিযোগ, এর জেরেই রাতে ৩০-৪০ জনের বাইক বাহিনী গ্রাম ঘিরে ফেলে এলোপাথাড়ি বোমা-গুলি ছুড়তে শুরু করে। আইএসএফ কর্মীদের বাড়ি থেকে টেনে বার করে বন্দুকের বাঁট এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কারও মাথা ফাটে, কারও হাত ভাঙে। শিশু এবং মহিলাদেরও মারধর করা হয়।
সংযুক্ত মোর্চার নেতা অধীর মল্লিক বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেরা দলীয় সভা এবং মিছিলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। বোমা-গুলি ছুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। আমাদের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।’’ তৃণমূল নেতা সঞ্জু বিশ্বাস পাল্টা বলেন, ‘‘আইএসএফ সন্ত্রাস করেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের ছ’জন আহত হয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy