ভিতরে-ভিতরে ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হচ্ছিল। রবিবার সেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এল। চাপড়ায় মিছিল করে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা জানিয়ে দিলেন যে, তাঁরা কোনও ভাবেই আইএসএফকে মেনে নেবেন না। পরিবর্তে তাঁরা চান, চাপড়া কেন্দ্রে প্রার্থী দিক কংগ্রেস। ফলে জোট প্রক্রিয়া এক রকম থমকে গেল চাপড়ায়। ভোটের আগে জটিল হয়ে উঠল পরিস্থিতি।
গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে জোট প্রার্থী হিসাবে লড়াই করেছিলেন সিপিএমের সামসুল ইসলাম মোল্লা। তিনি দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন। সেই হিসাবে এই কেন্দ্রের দাবিদার ছিল সিপিএম। তারা এ বার চাপড়া কেন্দ্রটি ছেড়ে দিয়েছে জোট শরিক আইএসএফ বা ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’কে। আবার গত বারের মতো এ বারও জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেন্দ্রটি দাবি করে এসেছে কংগ্রেসও। জোটের স্বার্থে গত বার তারা সিপিএমকে মেনে নিলেও এ বার কোন ভাবেই আইএসএফকে মানতে চাইছে না। কেন্দ্রটি আইএসএফকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানার পর থেকে ভিতরে-ভিতরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিলেন একদা কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত চাপড়ার কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ। রবিবার তাঁরা ব্লক কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে, কোন ভাবেই আইএসএফ প্রার্থীকে মেনে নেওয়া হবে না। চাপড়ায় কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে তাঁরা মিছিলও করেন।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আকবর আলি বিশ্বাস বলছেন, “কোনও ভাবেই আইএসএফকে মেনে নেওয়া হবে না। আমরা জোটের স্বার্থে সিপিএমকে মেনে নিয়েছিলাম। তাই বলে আইএসএফকে মানব না। গোটা চাপড়ায় ওদের কোনও সংগঠন নেই। কোনও নেতা নেই। সাধারণ মানুষই ওদের মেনে নিতে চাইছেন না।”
চাপড়া ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি নাসির শেখের কথায়, “আমরা অপেক্ষা করছি। নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত যদি আমাদের দাবিকে মেনে নেওয়া না-হয় তা হলে আবার বৈঠকে বসব। সেখানেই ঠিক হবে আমরা আমাদের ভোটটা কাকে দেব বা কাকে ভোট দেওয়ার কথা বলব।” জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আশিস সাহা বলেন, “কর্মীদের তো একটা আবেগ আছেই। সেই আবেগের জায়গা থেকে তাঁরা এমন করছেন। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নেতৃত্ব। সেই সিদ্ধান্ত সকলের মেনে নেওয়া উচিৎ।’’ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি আইএসএফের চাপড়া ব্লক সভাপতি ফরজ আলি মোল্লা। নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy