সংযুক্ত মোর্চার জোটে জট কিছুতেই কাটছে না উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। সেখানে সংযুক্ত মোর্চার দুই শরিক সমুখ সমরে। সোমবার আইএসএফ প্রার্থী করিম আলি এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের হাসানুরজামান চৌধুরী দু’জনেই মনোনয়ন জমা দিলেন বারাসতে মহকুমা শাসকের দফতরে।
দেগঙ্গার বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক তথা এ বারের প্রার্থী রহিমা মণ্ডল সোমবার সরাসরি বলেই দিয়েছেন, সংযুক্ত মোর্চার অন্তর্দ্বন্দ্বে তৃণমূলের রাজনৈতিক ফায়দা হবে। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দীপিকা চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, যে কোনও পরিস্থিতিতেই ভাঙড়ে তাঁর জয় অনিবার্য।
জেলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশ অবশ্য বলছেন, এই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে সাম্প্রতিক কালে আইএসএফের উত্থান অনেক সমীকরণই বদলে দিয়েছে। সূত্রের খবর আইএসএফের করিম আশাবাদী ছিলেন, শেষ পর্যন্ত ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন না এবং উচ্চতর নেতৃত্বের আলোচনায় জট কেটে যাবে।
এই কেন্দ্রে ২,৪১ লক্ষ ভোটার রয়েছে। যার বড় অংশ সংখ্যালঘু। ৩৫০০০ আইএসএফ সক্রিয় সমর্থক রয়েছে বলে দাবি আব্বাস সিদ্দিকির দলের। গত বিধানসভা নির্বাচনে ৭১০০০ এর বেশি ভোট পেয়েছিলেন হাসানুরজামান। সোমবার তাঁর খোলামেলা আবেদন আব্বাসের উদ্দেশে— ‘‘জোটের স্বার্থে আইএসএফ প্রার্থী যেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।’’
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বারাসতের অন্তর্গত দেগঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রাপ্ত ৫৯ শতাংশ ভোট পেয়ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। এই পরিস্থিতিতে জয়ের বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত হলেও সংযুক্ত মোর্চার বিভাজন দেখে আরও স্বস্তির নিঃশ্বাস তৃণমূল শিবিরে। অন্যদিকে, একটি সূত্র জানাচ্ছে সংখ্যালঘু ভোটের বিভাজনের জেরে বিজেপি জয়ের আশা করতে শুরু করেছে।