সীতারাম ইয়েচুরি ও রাহুল গাঁধী।
রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটের প্রচারের শেষ দিনে উত্তরবঙ্গে আসছেন রাহুল গাঁধী। প্রথমে গোয়ালপোখর এবং পরে বাগডোগরায় সভা করার কথা তাঁর। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির বাংলা সফরের পরে পরেই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে চলেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কলকাতায় তাঁর প্রচার শুরু হওয়ার কথা আগামী ১৬ এপ্রিল, শুক্রবার। পরের দিন তাঁর কর্মসূচি রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ১৭ এপ্রিলের পঞ্চম দফার ভোটের জন্য প্রচার শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায়। একেবারে শেষ লগ্নে বাগডোগরায় রাহুল মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া, এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করবেন বলে ঠিক আছে। তার আগে গোয়ালপোখরে সভা রয়েছে তাঁর। দিল্লি থেকে আজ দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে কপ্টারে গোয়ালপোখর পৌঁছনোর কথা রাহুলের। সেখানে সভা সেরে ফের কপ্টারে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সড়ক-পথে দ্বিতীয় সভায় যাওয়ার কথা। সন্ধ্যায় বাগডোগরা থেকেই উড়ে যাওয়ার কথা দিল্লির উদ্দেশে। এখনও পর্যন্ত যা সূচি আছে, তাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, দু’জনের কারওরই রাহুলের সভায় থাকার কথা নয়। লালগোলায় কর্মসূচি সেরে অধীরবাবুর নোয়াপাড়া ও উত্তর দমদমে প্রচারে আসার কথা। মান্নানও থাকছেন কলকাতায়। তাঁর রমজ়ান শুরু হচ্ছে আজ।
জোটের মধ্যে যে আসনগুলি নিয়ে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে টানাপড়েন ছিল, সেই কেন্দ্রগুলিতে কর্মীদের ‘সক্রিয়’ রাখতে এখন বেশি নজর দিচ্ছেন দু’পক্ষের নেতারাই। বরানগর, বিধাননগর, শান্তিপুর, দমদমের মতো আসনে একাধিক বার সভা করছেন জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব। বরানগর ও বিধাননগরে একসঙ্গে সভা করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবু। শান্তিপুরে সুজন চক্রবর্তী সভা করে আসার পরে গিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও। সেখানে এক বার রোড-শো এবং পরে অন্য দিন সভা করেছেন অধীরবাবুও। আবার দমদমে সোমবারের পরে মঙ্গলবার ফের সিপিএম প্রার্থী পলাশ দাসের সমর্থনে সভা করতে গিয়েছেন কংগ্রেসের মান্নান। ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষও। উত্তর দমদমে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের সমর্থনে সভা এবং ভবানীপুরে কংগ্রেস প্রার্থী শাদাব খানের সঙ্গে এ দিন রোড-শো’তেও ছিলেন বিরোধী দলনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy