ভোটের সকালে কোচবিহারের শীতলখুচিতে কী হয়েছিল, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যাখ্যা’ ভিন্নতর। সোমবার দু’জনেই ভোটপ্রচারের মঞ্চ থেকে ঘটনার আলাদা আলাদা ‘ব্যাখ্যা’ দিলেন। মোদী বললেন, ‘এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাপ্পাভোট মাস্টার প্ল্যানের অংশ’। অন্য দিকে, মমতার দাবি, ‘শীতলখুচির ঘটনা অমিত শাহের ষড়যন্ত্র’।
শনিবার ভোটগ্রহণের দিন শীতলখুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হন আরও ৪ জন। গণতন্ত্রের উৎসবে এই রক্তক্ষয় নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ক্লিনচিট দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বও কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তার পর থেকে গত দু’দিনে বাংলায় একাধিক জনসভা করেছেন মোদী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার যে ‘বিধান’ মমতা দিয়েছিলেন, তার জন্যই শীতলখুচিতে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
কিন্তু সোমবার নদিয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত জনসভায় মোদী সেই দাবির সঙ্গে অন্য তত্ত্বও জুড়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সামনে পরাজয় দেখে নতুন রণকৌশল তৈরি করছেন দিদি। তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে ভোট দিতে দিচ্ছেন না। ওই শ্রেণির মানুষের ভোটদান রুখে, নিজের গুন্ডাদের দিয়ে ছাপ্পাভোট দেওয়ানোর ষড়যন্ত্র করছেন। তার জন্যই প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে বলা হচ্ছে, যাতে দিদির বাকি সমর্থকরা সেই সুযোগে বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোট দিতে পারে। কোচবিহারে যা হয়েছে, তা দিদির এই ছাপ্পাভোট মাস্টারপ্ল্যানের অংশ ছিল।’’