অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
জোটসঙ্গী বামেরা নেমেছে আগেই। এ বার গান নিয়ে বিধানসভা ভোটের ময়দানে নামল কংগ্রেস। তবে বামেদের অনুকরণে জনপ্রিয় কোনও গানের প্যারোডিতে নয়, মৌলিক সুরে। ‘নতুন বাংলা গড়া’র ডাক ছাড়া দল বা জোট-গত ভাবে কোনও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নেই সেখানে। কংগ্রেসের ভোটের গানের বিষয়বন্তু একান্ত ভাবেই দলের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং তাঁর ‘জনদরদি ভাবমূর্তি’তে কেন্দ্রীভূত।
পাশাপাশি, এই গানে ব্যঙ্গ করা হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি-কে। ব্যবহার করা হয়েছে বামেদের প্যারোডিতে ব্যবহৃত দুই দলকে মিশিয়ে তৈরি ‘বিজেমূল’ শব্দবন্ধ। বামেদের ‘টুম্পাসোনা’, ‘লুঙ্গি ডান্স’ বা ‘উরি উরি বাবা’-র মতো ভিডিয়ো সঙ্গীত নয়, কংগ্রেসের অধীর-গান এখনও পর্যন্ত শুধুই ‘অডিয়ো’তে। সেখানে ‘হাওয়াই চটির ফটফটানি’ বন্ধের কথা বলে নিশানা করা হয়েছে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আবার বলা হয়েছে ‘মোদী দাদুর সব গিমিক’-এর প্রসঙ্গ। পুরো গানে ফিরে ফিরে এসেছে ‘গড়ব আমরা নতুন বাংলা বুকে অধীর আশা’ লাইনটি। এসেছে ‘অধীর আশায় বুক বাঁধা’র কথাও।
মুর্শিদাবাদের নেতা অধীরের শিকড়ের কথাও তুলে ধরা হয়েছে গানে। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদকে বলা হয়েছে, ‘গঙ্গা পাড়ের ওই ছেলেটা’। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের দায়িত্ব পালনের জন্য অধীরকে সাময়িক ভাবে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেসের ভোটের গানে সেই প্রসঙ্গের ‘ব্যাখ্যা’— ‘দিল্লি ছেড়ে, কুর্সি ভুলে নামল পথে এসে। বুক চিতিয়ে এগিয়ে যাবে, থামবে লড়াই শেষে’।
‘চৌধুরী অধীর’-এর ভাবমূর্তি তুলে ধরতে পুরো গানেই তাঁর সম্পর্কে রয়েছে নানা বিশেষণ। কখনও তিনি ‘বাংলার সেই সুপারম্যান’, মানুষের ‘স্নেহের রবিনহুড’, কখনও ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’, কখনও বা ‘বাংলা মায়ের দামাল ছেলে’। নেটমাধ্যমে বামেদের ভোটের গানগুলি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই আবহে অধীর-সঙ্গীত জনপ্রিয়তা পাবে বলেই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy