উল্লাস চুঁচুড়ায়। ছবি: তাপস ঘোষ।
চাঁপদানি, পান্ডুয়াও এ বার হাতে এল। তৃণমূলের ধাক্কায় বিরোধীরা উড়ে গেলেন হুগলি শিল্পাঞ্চলে। গঙ্গাপাড়ের একের পর এক আসনে জয়ী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সৈনিক’রা।
হুগলিতে মোট আসন ১৮টি। তার মধ্যে আরামবাগ মহকুমার চারটি আসন দখল করেছে বিজেপি। বাকি ১৪টি আসনে তৃণমূল জিতেছে। অর্থাৎ, এই জেলার বাকি তিন মহকুমা শ্রীরামপুর, সদর এবং চন্দননগরে তৃণমূলের পক্ষে ফল ১৪-০। এই প্রথম হুগলি শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিল বামেদের। ঝুলি শূন্য কংগ্রেসেরও। খাতা খুলতে পারেনি সংযুক্ত মোর্চার অপর দল নবগঠিত আইএসএফ-ও।
গত বিধানসভায় এই জেলায় তৃণমূল জিতেছিল ১৬টি আসনে। চাঁপদানিতে কংগ্রেস এবং পান্ডুয়ায় সিপিএম জিতেছিল। এ বার চাঁপদানি পুনর্দখল করেছে তৃণমূল। এখানে কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল মান্নান অনেক পিছিয়ে থেকে তৃতীয় হয়েছেন। এই প্রথম পান্ডুয়া বিধানসভায় জিতল তৃণমূল। দু’বছর আগে লোকসভা ভোটে হুগলিতে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগ। পান্ডুয়াতেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন লকেটের কাছে। এ বার রত্না পান্ডুয়ায় জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিলেন তৃণমূলকে।
বলাগড়ে বিদায়ী বিধায়ক অসীম মাঝির পরিবর্তে দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা। তৃণমূলের জনপ্রিয় স্লোগান ‘খেলা হবে’ নয়, মনোরঞ্জনের মুখে শোনা গিয়েছিল, তিনি খেলোয়াড় নন, ‘লেখোয়াড়’। বলাগড়ে খেলা নয়, লেখা হবে। পথেঘাটে রাত কাটানো, রিক্শা চালানো, মুটেগিরি করা মনোরঞ্জন নিজের জীবনে আরও এক ইতিহাস লিখলেন। তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে গেল ‘বিধায়ক’ শব্দটি।
জেলার দুই মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত এবং অসীমা পাত্র যথাক্রমে সপ্তগ্রাম এবং ধনেখালি থেকে জয়েক হ্যাটট্রিক করলেন। চন্দননগরে দ্বিতীয় বারের জন্য জয়ী হলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক জিতেছেন প্রবীর ঘোষালকে হারিয়ে। শ্রীরামপুর থেকে এ বারেও বিধানসভায় যাচ্ছেন চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। এই নিয়ে টানা চতুর্থবার। চণ্ডীতলায় স্বাতী খন্দকার, জাঙ্গিপাড়ায় স্নেহাশিস চক্রবর্তী হ্যাটট্রিক করলেন। হরিপালে জয়ী হয়েছেন করবী মান্না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy