আদালতের পথে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল কর্মীদের মারধর ও পতাকা ছেঁড়ার ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করলো স্থানীয় বাসিন্দারা। আধাসেনা গিয়ে গ্রামবাসীদের হাত থেকে আটক দুষ্কৃতীদের উদ্ধার করে। ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে একটি তাজা বোমা ও দুটি বাইক। মঙ্গলবার পটাশপুর থানার মথুরা এলাকার ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানপুর বিধানসভার অন্তর্গত পটাশপুর থানার মথুরা ও আড়গোয়াল পঞ্চায়েত এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক সংঘর্ষের একাধিক ঘটনায় এলাকা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। গত সোমবার জুখিয়াতে বিজেপি প্রার্থীকে হেনস্থা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মথুরা অঞ্চলে বাল্যগোবিন্দপুর হাইস্কুল মাঠে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও অর্পিতা ঘোষের সভা ছিল সোমবার। সভা উপলক্ষে তৃণমূল কর্মীরা দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইরে থেকে বেশ কয়েকটি বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা এসে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে পতাকা ছিঁড়ে দেয়। মথুরাতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে আটকে রেখে গণধোলাই দেয়। পরে আধাসেনা ও পুলিশ গিয়ে গ্রামবাসীদের হাত থেকে দুষ্কৃতীদের উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি তাজা বোমা। ধৃতেরা সবাই বিজেপি সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। তাদের বাড়ি সন্দলপুর, টনিয়াভিলা ও আড়গোয়াল এলাকায়। আরও কয়েক জনকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বুধবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পটাশপুর-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মৃণালকান্তি দাস বলেন, ‘‘জনসমর্থন হারিয়ে বিজেপি এখন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দিয়ে বোমা-বারুদ নিয়ে এলাকার দখলের চেষ্টা করছে। পুলিশকে এলাকায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি।’’ বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে মারধর ও পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মিথ্যাভাবে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। কেউ আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন, তাকে পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy