Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কমিশনকে শাসিয়ে লাভ হবে না, বুঝিয়ে দিলেন কমিশনার

কোনও হুমকি বা শাসানির মুখে নির্বাচন কমিশন তাঁর দায়িত্ব থেকে সরবে না। কংগ্রেসের প্রশ্নের মুখে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী আজ স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিলেন এ কথা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৭
Share: Save:

কোনও হুমকি বা শাসানির মুখে নির্বাচন কমিশন তাঁর দায়িত্ব থেকে সরবে না। কংগ্রেসের প্রশ্নের মুখে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী আজ স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিলেন এ কথা।

প্রশ্নটা ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের নেতারা যে ভাবে প্রচারে গিয়ে নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, এ সব কি নির্বাচন কমিশনার জানেন? জৈদীর সঙ্গে বৈঠকে আজ এ কথা জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। বৈঠক সেরে প্রদীপবাবুর দাবি, জৈদী তাঁকে বলেছেন, ‘সবই জানি। কিন্তু কী এসে-যায়? এ সব নিয়ে চিন্তা করারই বা কী রয়েছে?’ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্ত ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন বলেও প্রদীপবাবু জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, জৈদী তাঁর সামনেই সুনীল গুপ্তর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কমিশনের অবস্থান হল, এই রকম হুঁশিয়ারিতে নির্বাচন কমিশনের কিছুই এসে-যায় না। এ সব বলে কমিশনকে দায়িত্ব থেকে টলানো যাবে না। জৈদী শুধু চান, সকলে ভোট দিন।

কমিশন ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারির কৌশল নিয়েছে। এ-ও স্থির হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় টহল দেবে, তার পাঁচ দিনের পরিকল্পনা জেলা প্রশাসন জানিয়ে দেবে। এত দিন কমিশনের কর্তারাই বিষয়টি জানতেন। প্রদীপবাবুর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্থানীয় স্তরে ভুল রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের স্পর্শকাতর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। তাই কোন জেলায়, কোন গ্রামে, কখন কেন্দ্রীয় বাহিনী যাবে, তা আগেভাগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। যদিও টহলদারির আগাম খবর জানানো নিয়ে দ্বিমত রয়েছে প্রশাসনের একাংশ, এমনকী বিরোধী জোটের অন্দরেই। কারণ আগাম খবর থাকলে শাসক দল এলাকায় গিয়ে মুখ না খোলার জন্য শাসিয়ে রাখতে পারে। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র গত সপ্তাহেই বলেন, ‘‘ওরা যা-ই করুক, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।’’

আর মানস ভুঁইয়ার মতে, ‘‘ভাল-খারাপ দু’দিকই রয়েছে। বাহিনী ঠিক মতো যাচ্ছে কি না কমিশন তা যাচাই করতে পারবে। কিন্তু আগে জেনে গেলে তৃণমূলের শাসানি চলবে গ্রামগুলিতে।’’ প্রশ্ন করা হলে প্রদীপবাবু জানান, তাঁরাও শাসানির কথা জানতে পারলেই কমিশনকে জানাবেন। তাই তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলের দিনক্ষণ-পথ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আবেদন রেখেছেন। স্বচ্ছতার স্বার্থেই এটা জরুরি বলে তাঁরা মনে করেন। গত কালই সবংয়ে জোট-প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার প্রচারে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পুলিশ পদক্ষেপ করেনি বলে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান প্রদীপবাবু। বিএসএফ-এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ রোখারও আর্জি জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE