সরকারি দফতরের চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতা করতে এসেছিলেন অনেকেই। মাঝপথে তাঁদের চাকরিহারা হতে হয়েছে। এমন শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই পুরনো চাকরিতে ফেরার পথে হাঁটছেন। শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই ৭৫০ জন প্রার্থীর আবেদন খতিয়ে দেখেছে। সেই সব আবেদনপত্র অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আবেদনের সংখ্যা হাজারের গণ্ডি পার করেছে।
অনুমোদন পেলেই চাকরিহারা শিক্ষকেরা পূর্বের পদে ফিরে যেতে পারবেন। তাঁরা সরকারি পদ ছেড়ে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁরা বর্তমানে চাকরিহারা। শীর্ষ আদালত চাকরিহারাদের পুরনো পদে ফিরে যাওয়ার সুযোগও দিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে তাঁদের ‘সার্ভিস ব্রেক’ হবে না। তবে, সেই সমস্ত শিক্ষকদের পুরনো পদে বহাল রাখার প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তারই ফলস্বরূপ বিপুল আবেদন জমা পড়েছে শিক্ষা দফতরে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি, মাদ্রাসা, সরকারি নানা দফতরের বিভিন্ন পদে বহু চাকরিহারা বহাল ছিলেন। পুরনো চাকরিতে ফিরে যাবেন, এমন প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পর এই বিপুল সংখ্যক চাকরিজীবীর পুনর্নিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ স্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। তবে, কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে প্রার্থীদের নিজের জেলায় পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করলে ভাল হয় বলে তিনি জানান।
অন্য সরকারি দফতরে কোনও চাকরি পেয়েও যোগ দেননি, ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত এমন শিক্ষকদের সংখ্যাও কম নয়। সে ক্ষেত্রে তাঁরা কী করবেন? প্রশ্ন তুলেছেন ‘শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চে’র সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দাবি করছি, এর স্থায়ী সমাধান করা হোক। সমস্ত ওএমআর প্রকাশ করে রি-প্যানেলের মাধ্যমে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করুক এসএসসি।’’