Advertisement
E-Paper

‘শবর’কে আউট অফ টেন কত দিলেন শাশ্বত?

শহর জুড়ে হোর্ডিং। ফিরছেন শবর গোয়েন্দা। সৌজন্যে পরিচালক অরিন্দম শীলের নতুন ছবি ‘ঈগলের চোখ’। মুক্তি পাবে আগামী ১২ অগস্ট। তার আগে আজ আড্ডায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং গৌরব চক্রবর্তী। রেকর্ডার অন করলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য। শহর জুড়ে হোর্ডিং। ফিরছেন শবর গোয়েন্দা। সৌজন্যে পরিচালক অরিন্দম শীলের নতুন ছবি ‘ঈগলের চোখ’। মুক্তি পাবে আগামী ১২ অগস্ট। তার আগে আজ আড্ডায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং গৌরব চক্রবর্তী। রেকর্ডার অন করলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৬ ১১:২৫
Share
Save

শবর ইজ ব্যাক। কেমন এনজয় করছেন?

শাশ্বত: শবর চরিত্রটাই আমি বরাবরই খুব এনজয় করি। তবে গরমকালে শুটিং হয়েছিল। প্রচুর খাটাখাটনি গিয়েছে। সেটা হয়েছে বলেই হয়তো দর্শকরা শবরকে এত পছন্দ করেন।

শবরের ইউএসপিটা কী?

শাশ্বত: এককথায় বাঙালির চেনা গোয়োন্দাদের থেকে একদম আলাদা। কারণ শবর পুলিশের গোয়েন্দা। কাঠখোট্টা, কঠিন বাস্তবের লোক।

সে জন্যই কি গৌরবের মতো জুনিয়র কলিগরা শবরকে আইডিয়ালাইজ করেন?

গৌরব: একদম তাই। তবে প্রথমেই বলে রাখা ভাল, এই ছবিতে আমার স্পেশাল অ্যাপিয়ারেন্স। সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জীব দাশ। সঞ্জীবের কাছে শবর হিরো।

চরিত্রটার জন্য হোমওয়ার্ক করেছিলেন?

গৌরব: খুব একটা করতে হয়নি। তবে সিনিয়র ইন্সপেক্টরদেরকে টুপি পরে থাকলে কী ভাবে স্যালুট করব, টুপি ছাড়া কী ভাবে— এই বেসিক টেকনিক্যাল জিনিসগুলো জেনে নিয়েছিলাম।

‘এবার শবর’ থেকে ‘ঈগলের চোখ’— শবরের ট্রান্সফরমেশন কতটা হয়েছে?

শাশ্বত: (মুচকি হাসি) বয়সটা বেড়েছে। তবে ইন্টারেস্টিং পার্ট হল ‘ঈগলের চোখে’-তে শবরের চরিত্রের একটা অন্য দিক দেখানো হয়েছে। কোনও একটা কারণ শবরকেও সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে যেতে হয়েছে। কারণটা আমি এখনই বলব না।

পর্দার শবরের রিয়েল লাইফে প্রিয় গোয়েন্দা কে?

শাশ্বত: ফেলুদা। বস বলুন, গুরু বলুন, ওটা ওই একজনই। আসলে ছোট থেকেই আমাদের মধ্যে ফেলুদাকে ইনজেক্ট করা হয়। এই রসটা থেকে বঞ্চিত যারা, তারা ছেলেবেলার একটা মজা মিস করে গিয়েছে। ছেলেবেলায় ফেলুদা পড়ে যেটা বুঝেছি বড় হয়ে পড়ে অন্য রকম মজা পেয়েছি। বাঙালি মাত্রই ভেতরে একটা গোয়েন্দা থাকে। কোনও ঘটনা ঘটলে তার ভেতরের রসটা জানার চেষ্টা করি আমরা সকলে। সেটা ফেলুদা পড়তে পড়তেই তো তৈরি হয়।

ব্যোমকেশ, কাকাবাবু, শবর— যদি মার্কিং করতে হয়?

শাশ্বত: একটা বয়সে পৌঁছনোর পর বাঙালি ব্যোমকেশ পড়ে। তাই ফেলুদা প্রথম হলে ব্যোমকেশ সেকেন্ডে আসবে। আর শবর তো এই সবে এল। শিশু। শবরকে আর একটু বড় করি আমরা।

গৌরবেরও তো রিয়েল লাইফের হিরো ফেলুদা?

গৌরব: হ্যাঁ, আমি তো ডাই-হার্ট ফেলুদা ফ্যান।

শবর আসার পর কি পছন্দ পাল্টেছে?

গৌরব: (সপাট জবাব) না। দুটো চরিত্র একেবারে আলাদা। ফেলুদা সকলের জন্য। আর শবর একটু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। শবর অনেক বেশি রিয়েল। তবে শবর কখনও ফেলুদার জায়গা নিতে পারবে না।

আজকের শবর কিন্তু এত দিন অন্য গোয়েন্দাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। কখনও ফেলুদার তোপসে, কখনও বা ব্যোমকেশের অজিত— এখন নিজে গোয়েন্দা হয়ে কেমন লাগছে?

শাশ্বত: (হো হো হাসি) আসলে প্রোমোশন হয়েছে। আপনাদের চাকরিতেও তো হয়। সে রকমই, গ্রেড বেড়েছে। মাইনেও বেড়েছে।

গৌরব আপনি তো ছোটপর্দার ব্যোমকেশ। বড়পর্দায় গোয়েন্দা হিসেবে কবে দেখা যাবে আপনাকে?

গৌরব: এই রে! এটা তো পরিচালক বা প্রয়োজকরা ভাল বলতে পারবেন। তবে এখন বড়পর্দায় ব্যোমকেশ যাঁরা করছেন আবিরদা আর যিশুদা ওঁদের আমার থেকে অনেকটা এগিয়ে রাখব। আর মজাটা কী জানেন, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমশ ব্যোমকেশের বয়স বাড়িয়ে গিয়েছেন। ফলে আরও কিছু দিন ওরা তো করতে পারবেন (হাসি)।

বাবার মতো ফেলুদার অফার পেলে করবেন?

গৌরব: বাবার মতো অভিনয় আমি কখনওই পারব না। আর ফেলুদা হতে আমার আপত্তি আছে। কারণ সত্যজিত্ রায় ফেলুদার হাইট লিখে গিয়েছেন, ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। আর আমি ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। তাই ফেলুদার ফ্যান হিসেবেই যখন নিজের নিজেকে অ্যাকসেপ্ট করতে যখন অসুবিধে হবে। তখন বাকিদেরও সেটা হবে, এটাই স্বাভাবিক।

পার্সোনাল লাইফে গোয়ান্দাগিরি ফেস করেছেন?

গৌরব: না বোধহয়। (হাসতে হাসতে) কারণ মা যেমন কোনও দিন জানতে চায়নি, ঘরের দরজা এত ক্ষণ বন্ধ কেন? আবার বান্ধবীরাও জানতে চায়নি কাকে মেসেজ করছি।

আর ‘শবর’ আপনি? ব্যক্তি জীবনেও গোয়েন্দাগিরি করেন?

শাশ্বত: (কিছুটা দার্শনিক ভঙ্গিতে) সব মানুষকেই গোয়ান্দাগিরি করতে হয়।

বাড়িতেও কি আপনি গোয়েন্দা?

শাশ্বত: (দীর্ঘ পজের পর) বাড়ির মহিলারাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা (প্রাণখোলা হাসি)।

সেটে ছ’জন সুন্দরীকে সামলালেন কী ভাবে?

শাশ্বত: আমি কেন সামলাব? সামলানোর তো লোক ছিল।

কে?

শাশ্বত: অরিন্দম শীল। খুব সেয়ানা ডিরেক্টর। শবরের দৌড় ওই সাইক্রিয়াটিস্ট জুন মালিয়া অবধি। বাকিদের কাছে খুব একটা ঘেঁষতে দেয়নি।

‘শবর’ করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?

শাশ্বত: অরিন্দম বলেছিল, শবরের মুখে কোনও এক্সপ্রেশন থাকবে না। সেটা খুব কঠিন ছিল। সেই চেষ্টাটা ইনটেনশানালি ছিল। কতটা পেরেছি, সে তো দর্শক বলবেন।

ডিরেক্টর নাকি মাঝে মাঝে বকতেন? গৌরব সত্যি নাকি?

গৌরব: হ্যাঁ। অরিন্দমকাকু বলত, এত আড্ডা মারিস না, শটে আয়। আমার তো শুটিংয়ের মাঝে জন্মদিন পড়েছিল। আমি অনেক বার বলেছিলাম, ডেটটা দেব না, প্লিজ। তো অরিন্দমকাকু নিজে ফোন করে বলে, এই কি হচ্ছেটা কী? আমিও জন্মদিনের দিন শুট করেছি। তুই আয়। আমি তোকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেব। সে দিন লাঞ্চ ব্রেকে কেক এনে সবাই মিলে হুল্লোড়ও হয়েছে।

মানে প্যাম্পার্ডও হয়েছেন?

গৌরব: অরিন্দমকাকুর সেটে আমি এত প্যাম্পার্ড হয়েছি যে অভ্যেস খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমার তো লজ্জাই লাগত।

আচ্ছা, সত্যি করে বলুন তো, আপনি যেমন আইডিয়াল পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তেমন অফিসার সত্যিই কি কলকাতার পুলিশে আছেন?

গৌরব: দেখুন, যে কোনও প্রফেশনে নিষ্ঠাবান লোকও থাকে, খারাপ লোকও থাকে। আমি এটা বিশ্বাস করি, কিছু খারাপ লোক থাকলেও ভাল অফিসার অবশ্যই আছেন কলকাতা পুলিশে।

শাশ্বত: গৌরব ইজ রাইট। আর তা ছাড়া এ ছবিতে কলকাতা পুলিশের আরও একটা সাইড দেখানো হয়েছে। যে সব করাপ্ট অফিসারদের জন্য পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বদনাম হয়, শবর থানায় তাদের একেবারে ঝেড়ে কাপড় পরিয়ে দিয়েছে। দর্শক দেখলে রিলেট করতে পারবেন।

শাশ্বত ‘শবর’কে আউট অফ টেন কত দেবেন?

শাশ্বত: যা খাটাখাটনি করে, ওর কিছুটা নম্বর ডেফিনেটলি পাওয়া উচিত। (অল্প ভেবে) দশে আট দেব।

দু’ নম্বর কাটলেন কেন?

শাশ্বত: একটু কম দেওয়া ভাল। ফুল মার্কস পেলে মুশকিল। ইমপ্রুভমেন্টের জায়গা রাখা উচিত (প্রাণখোলা হাসি)।

লোকেশন সৌজন্যে: দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্ন।

‘ঈগলের চোখ’-এর আরও দুই সদস্য অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং পায়েল সরকারের সাক্ষাত্কার পড়তে চোখ রাখুন আগামীকাল।

Eagoler Chokh Bengali Movie Saswata Chatterjee Gaurav Chakrabarty Swaralipi Bhattacharyya

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।